বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শান্তিচুক্তি: বাস্তবায়ন নিয়ে পাহাড়ে দুই মত

  •    
  • ২ ডিসেম্বর, ২০২০ ০৮:০৪

১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে পার্বত্য চুক্তি করে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস)। চুক্তি অনুযায়ী আত্মসমর্পণ করে জনসংহতি সমিতির সশস্ত্র শাখা- শান্তিবাহিনীর সদস্যরা। শরণার্থী হিসেবে ভারতে আশ্রয় নেয়া প্রায় ৮৬ হাজার পাহাড়ি দেশে ফেরেন।

২৪ বছরে পা দিলো পার্বত্য শান্তি চুক্তি। এতদিনেও চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন হয়নি। এজন্য সরকারের আন্তরিকতার অভাবকে দুষছেন তিন পার্বত্য জেলার আঞ্চলিক সংগঠনগুলোর নেতারা। তবে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা বলছেন, চুক্তির বেশিরভাগ ধারাই বাস্তবায়িত হয়েছে। বাকিগুলো কার্যকরের চেষ্টা চলছে।

১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে পার্বত্য চুক্তি করে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস)। চুক্তি অনুযায়ী আত্মসমর্পণ করে জনসংহতি সমিতির সশস্ত্র শাখা- শান্তিবাহিনীর সদস্যরা। শরণার্থী হিসেবে ভারতে আশ্রয় নেয়া প্রায় ৮৬ হাজার পাহাড়ি দেশে ফেরেন।

চুক্তি বাস্তবায়নে সরকার পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ সৃষ্টি, পার্বত্য জেলা পরিষদের আইন সংস্কার, পাহাড়ি শরণার্থীদের পুনর্বাসনের জন্য টাস্কফোর্স গঠন ও ভূমি সমস্যা সমাধানের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন গঠন করে।

চুক্তির প্রায় দুই যুগ পর এর বাস্তবায়ন নিয়ে নিউজবাংলার সঙ্গে কথা বলেছেন পাহাড়ের আঞ্চলিক ও ক্ষমতাসীন দলের নেতারা।

রাঙ্গামাটির ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ-মূল) মুখপাত্র অংগ্য মারমা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পার্বত্য চুক্তি একটি অসম্পূর্ণ চুক্তি। সরকার যদি সত্যি চুক্তি বাস্তবায়নে আন্তরিক হতো তাহলে এত দিন চুক্তির মৌলিক ধারাগুলো বাস্তবায়নে এগিয়ে আসত। পাহাড় থেকে সেনাক্যাম্প প্রত্যাহার করত।’

একই কথা বলেন ইউপিডিএফ বান্দরবান জেলার আহ্বায় ছোটন তঞ্চঙ্গ্যা। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শান্তি চুক্তির কিছু অংশ বাস্তবায়ন হওয়ায় আঞ্চলিক সংগঠনগুলোর মধ্যে প্রতিনিয়ত দ্বন্দ্ব তৈরি হচ্ছে। সৃষ্টি হচ্ছে নতুন নতুন সংগঠন। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এসব সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে ঘটছে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ।’

তবে আঞ্চলিক দলের নেতাকর্মীদের এই বক্তব্যের বিপরীত মেরুতে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের অবস্থান। বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শান্তিচুক্তির ধারা তো নব্বই শতাংশই বাস্তবায়ন হয়েছে। তারপরেও অনেকে অযৌক্তিক প্রশ্ন তোলে।'

তিনি বলেন, 'এই অঞ্চলে নির্বাচনের জন্য আলাদা ভোটার তালিকা তৈরি করতে হবে। সংবিধান কি এটা পারমিট করে? কখনো না। একটি নির্দিষ্ট ভূখণ্ডে সবাই সমান অধিকার ভোগ করবে।

‘এই সমস্ত কারণে কিছু বিষয় আটকে আছে। যেটি উভয়পক্ষের আলোচনা সাপেক্ষে সমাধান হতে পারে। সরকার ইচ্ছে করলেও এককভাবে এই কাজ করতে পারবে না। পাহাড়িরাও মেনে নেবে না।’

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি কংজরী চৌধুরী বলেন, ‘চুক্তি বাস্তবায়ন একটি চলমান প্রক্রিয়া। চুক্তির ৭২টি ধারার মধ্যে ৪৮টি বাস্তবায়িত হয়েছে। অন্যগুলো বাস্তবায়নে তিন সদস্যের জাতীয় কমিটি কাজ করছে।’

বান্দরবানের মানবাধিকার নেত্রী ড নাই প্রু নেলী নিউজবাংলাকে বলেন,‘চুক্তির পর তো পার্বত্য জেলা পরিষদ, আঞ্চলিক পরিষদসহ অনেক কিছু হয়েছে। কিন্তু আমরা সমন্বয়হীনতায় ভুগছি। এই সংকট কাটাতে সবার মধ্যে যোগাযোগ বাড়াতে হবে, থাকতে হবে সৎ মনোভাব। তবেই পাহাড়ে সংঘাতময় পরিস্থিতি এড়ানো যাবে।’

প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন সুপ্রিয় চাকমা শুভ; রাঙ্গামাটি, কিকিউ মার্মা, বান্দরবান ও সৈকত দেওয়ান, খাগড়াছড়ি

এ বিভাগের আরো খবর