বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পার্বত্য শান্তিচুক্তি: মন্ত্রী চান ‘সহযোগিতা’

  •    
  • ২ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০৯

মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং মনে করছেন, কারও ওপর দায় না দিয়ে সমন্বয়ের মধ্য দিয়ে সমাধানের দিকে যেতে হবে। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, সবাই মিলে ব্লেইম না করে কীভাবে এগিয়ে যাব- সেই চেষ্টা করলে অবশ্যই শান্তিচুক্তির পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন হবে।’

পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির ২৩ বছর পূর্তিতে সরকার বলছে, চুক্তির সবগুলো দিক বাস্তবায়নে তারা আগ্রহী। বিভিন্ন জটিলতায় বাস্তবায়নে ধীরগতি থাকলেও সরকারের আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি নেই।

তবে জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) অভিযোগ, দেশবাসী ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দেখাতে ‘লোকদেখানো’ পদক্ষেপেই আটকে আছে চুক্তি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া।

কয়েক দশকের রক্তক্ষয়ী সংঘাতের অবসান ঘটিয়ে পাহাড়ে শান্তি ফেরাতে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সরকার এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির আনুষ্ঠানিক চুক্তি হয়। এর পর ২৩ বছর কেটে গেলেও চুক্তির পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়নি। এজন্য বিভিন্ন পদক্ষেপে ধীরগতির অভিযোগ করছে পাহাড়িদের বিভিন্ন সংগঠন।

ধীরগতির বিষয়টি স্বীকার করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে কাজ কিছুটা স্লো হয়েছে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘চুক্তির ৭২টি ধারার মধ্যে ৪৮টি বাস্তবায়ন হয়েছে। ১৫টি ধারা আংশিক বাস্তবায়ন হয়েছে। আর অবশিষ্ট নয়টি ধারা বাস্তবায়নের কাজ চলমান আছে। ’

তবে মন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিমত করছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য ও জেএসএস-এর সহ সাংগঠনিক সম্পাদক কে এস মং মারমা। তিনি বলেন, ‘বছরের পর বছর একই কথা বলা হচ্ছে। যে ৪৮টা ধারা বাস্তবায়নের কথা বলা হচ্ছে, সেখানেও আছে শুভঙ্করের ফাঁকি।’

নিউজবাংলাকে তিনি জানান, ‘পার্বত্য জেলা পরিষদের কাছে যে বিভাগগুলো হস্তান্তর হওয়ার কথা সেগুলো হয়েছে। কিন্তু এসব বিভাগ কীভাবে পরিচালিত হবে সেটি এখনও সমাধান করা হয়নি। পার্বত্য চুক্তির ২৩ বছর পার হলেও পার্বত্য জেলা পরিষদের বিধিমালা করা হয়নি।

‘পার্বত্য চট্টগ্রামের সংকটে মূলে রয়েছে ভূমি ব্যবস্থাপনা। এ সমস্যার সমাধানে ভূমি কমিশন আইন করা হয়েছে। কিন্তু ভূমি কমিশন আইনের বিধিমালা এখনও তৈরি হয়নি, লোকবল বাড়ানো হয়নি।

‘তিন পার্বত্য জেলার সাধারণ প্রশাসন এবং আইন-শৃঙ্খলাসহ যাবতীয় তত্ত্বাবধান আঞ্চলিক পরিষদের হাতে যাওয়ার কথা ছিল, সেটাও হয়নি।’

তবে বীর বাহাদুর বলছেন, ‘এসব বিষয়ে সরকারের আন্তরিকতার কোনো অভাব নেই। একেবারে কাজ হয়নি কথাটা সত্য নয়। কাজ চলমান আছে। যেগুলো হয়েছে সেগুলোর অবস্থা কী, আগামীতে আরও কী করা যায়, কত দ্রুত করা যায়- সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী টাইম টু টাইম খবর নিচ্ছেন।’

জনসংহতি সমিতি বলছে, চুক্তি বাস্তবায়ন করতে গেলে উভয়পক্ষের মধ্যে সমঝোতা ও সমন্বয় প্রয়োজন। কে এস মং নিউজবাংলাকে বলেন, ‘চুক্তি বাস্তবায়ন করতে হলে সরকারের বিভিন্ন অর্গানকে ঠিক রেখে যেমন সামনের দিকে যেতে হবে, তেমনি জনসংহতি সমিতিকে শক্তিশালী করতে হবে। কিন্তু জনসংহতি সমিতির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দেয়া হয়েছে।’

পার্বত্যমন্ত্রীও মনে করছেন, কারও ওপর দায় না দিয়ে সমন্বয়ের মধ্য দিয়ে সমাধানের দিকে যেতে হবে।

তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, সবাই মিলে ব্লেইম না করে কীভাবে এগিয়ে যাব- সেই চেষ্টা করলে অবশ্যই শান্তিচুক্তির পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন হবে।’

২৩ বছরেও কেন শান্তিচুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘সময় লাগবে। সব মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে আমাদের কাজ করতে হয়। সবার কাজ একই রকমের হবে এমন কোনো কথা নেই। উনাদের এগিয়ে আসতে হবে। আলোচনা করে সমাধান কীভাবে হবে, কীভাবে আগাতে পারব- সেটা ঠিক করতে হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর