বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আসছে তৃতীয় সাবমেরিন কেব্‌ল

  •    
  • ১ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৯:২০

প্রায় সাতশ কোটি টাকা ব্যয়ের প্রকল্পটি একনেকের অনুমোদন পেয়েছে। এটি বাস্তবায়ন হলে দেশে উচ্চগতির ইন্টারনেট সুবিধা আরও বাড়বে।

তৃতীয় আরেকটি সাবমেরিন কেব্‌লের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে দেশ। বহির্বিশ্বে টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা সম্প্রসারণে প্রায় সাতশ কোটি টাকা ব্যয়ে এ সংযোগ স্থাপন করা হবে। মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ সংক্রান্ত প্রকল্পে অনুমোদন দেয়া হয়।

প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে দেশে উচ্চগতির ইন্টারনেট সুবিধা আরও বাড়বে।

বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্‌ল কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিসিএল) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। মঙ্গলবার এটিসহ চারটি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয় একনেক সভায়। এতে মোট ব্যয় হবে ২ হাজার ১১৫ কোটি টাকা।

বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফ্রিং করেন পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (জ্যেষ্ঠ সচিব) ড. শামসুল আলম। গণভবন থেকে সভায় ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ড. শামসুল আলম বলেন, তৃতীয় সাবমেরিন কেব্‌ল প্রকল্পকে সময়োপযোগী হিসেবে বর্ণনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের পর ব্যান্ডউইড্‌থ রফতানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনেরও সুযোগ সৃষ্টি হবে।

তিনি আরও জানান, প্রথম সাবমেরিন কেব্‌লের আয়ুষ্কাল ২০২৫ সালে শেষ হবে। এরই মধ্যে এ কেব্‌ল ১৫ বছরের পুরনো হয়ে যাওয়ায় সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে । তাছাড়া তুলনামূলকভাবে পুরনো প্রযুক্তির কারণে প্রথম সাবমেরিন কেব্‌লের মাধ্যমে যথেষ্ট দ্রুতগতির সেবা পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে এর সংযোগ নেয়ার আগ্রহ কম। তাছাড়া ২০২১ সাল নাগাদ দেশে ‘ফাইফ-জি’ সেবা চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। সেক্ষেত্রে ব্যান্ডউইডথের চাহিদা আরও বৃদ্ধি পাবে।

এসব বিষয় বিবেচনা করেই তৃতীয় সাবমেরিন কেব্‌ল প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে বলে জানান ড. শামসুল আলম। পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তরা বলেন, এ প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৯৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে প্রায় ৩০১ কোটি টাকা সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে যোগান দেয়া হবে। বাকি ৩৯২ কোটি টাকার যোগান দেবে প্রকল্প বাস্তবায়কারী কোম্পানি বিএসসিসিএল। ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।বর্তমানে দেশে ব্যান্ডউইডথ ব্যবহার বৃদ্ধির হার প্রায় ৭০ শতাংশ। তৃতীয় সাবমেরিন কেব্‌ল প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে এর ব্যবহার আরও বাড়বে। ফলে ইন্টারনেট সেবার আরও সম্প্রসারণ হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

প্রকল্পের আওতায়, ১৩ হাজার ২৭৫ কিলোমিটার কোর সাবমেরিন কেব্‌ল এবং ১ হাজার ৮৫০ কিলোমিটার ব্রাঞ্চ সাবমেরিন কেব্‌ল বসানোর লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে।প্রকল্প প্রস্তাবে বলা হয়েছে, সিঙ্গাপুর থেকে ফ্রান্স পর্যন্ত সংযুক্ত এসএমডাব্লিউ-৬ সাবমেরিন কেব্‌ল ভারত মহাসাগর, আরব সাগর, লোহিত সাগর হয়ে ভূমধ্যসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত।

এর কোর ল্যান্ডিং স্টেশন সিঙ্গাপুর, ভারত, জিবুতি, মিশর ও ফ্রান্সে। বাংলাদেশের ব্রাঞ্চটি বঙ্গোপসাগর হয়ে কক্সবাজারে কেবল ল্যান্ডিং স্টেশন পর্যন্ত বিস্তৃত করা হবে। অনুমোদিত অন্যান্য প্রকল্পগুলো হচ্ছে: পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আড়িয়াল খাঁ নদী, হাড়িদোয়া নদী, ব্রহ্মপুত্র নদ ও পুরাতন ব্রহ্মপুত্র শাখা নদ পুনঃখনন, তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক আধুনিকীকরণ এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ‘মিউনিসিপ্যাল গভারন্যান্স অ্যান্ড সার্ভিসেস প্রকল্প ইত্যাদি।

এ বিভাগের আরো খবর