ফরিদপুর পৌরসভার নির্বাচন স্থগিত করে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ স্থগিত করে দিয়েছে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।
এর ফলে আগামী ১০ ডিসেম্বর পৌরসভা নির্বাচন হতে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
মঙ্গলবার চেম্বার বিচারপতি মো. নূরুজ্জামানের আদালত হাইকোর্টের আদেশটি স্থগিত করে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। অন্যদিকে রিটকারীর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মোসাদ্দেক বিল্লাহ।
ফরিদপুর পৌরসভার নির্বাচন ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে গত ২৫ নভেম্বর বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল জারি করে।
এরপর হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে চেম্বার আদালত সেটিও স্থগিত করে দেয়।
ফরিদপুর পৌরসভার নির্বাচন স্থগিত চেয়ে বর্ধিত এলাকার ভোটার মো. আতিয়ার রহমান গত ১৫ নভেম্বর রিট করেন।
রিটের পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ ১০ জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দস জানিয়েছিলেন, একটি পৌরসভাকে সিটি করপোরেশন করতে যা যা করা দরকার, প্রশাসন তার সবই করেছে। এমনকি গত বছর ২১ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির (নিকার) ১১৬তম সভার প্রধান আলোচ্য সূচি ছিল ফরিদপুর সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠা।
ওই সভায় বিদ্যমান ফরিদপুর পৌরসভা এবং সম্প্রসারিত এলাকা নিয়ে ফরিদপুর সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। তা সত্ত্বেও নির্বাচন কমিশন ফরিদপুর পৌরসভা নির্বাচনের জন্য তফসিল ঘোষণা করে। নির্বাচন কমিশনের তফসিল ঘোষণাকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়।