গোল্ডেন মনির হিসেবে পরিচিত সোনা ব্যবসায়ী মনির হোসেনের দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগ অনুসন্ধানে রাজউকের পরিচালক শেখ শাহিনুল ইসলামসহ সাত জনকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গ্রেফতার গোল্ডেন মনিরের দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে আরও যাদের তলব করা হয়েছে তাদের মধ্যে আছেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সাবেক সিবিএ নেতা আব্দুল জলিল আকন্দ, নিম্নমান সহকারি মো. ওবায়দুল্লাহ ও উচ্চমান সহকারি আব্দুল মালেক।
আছেন গণপূর্ত বিভাগের প্রকৌশলী প্রদীপ বসু এবং ঢাকা উত্তর সিটির ৫৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শফিকুল (সোনা শফিক) ও বিএনপি নেতা সাবেক কাউন্সিলর এম এ কাউয়ুম।
প্রণব কুমার ভট্টাচার্য বলেন, ‘আগামী ৮ থেকে ১০ ডিসেম্বর তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। রাজউক কর্মকর্তাদের কাছে মনিরের ২০০ প্লট জালিয়াতি নিয়ে জানতে চাইবে দুদক।’
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গত ২০ নভেম্বর রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় গোল্ডেন মনিরের বিলাসবহুল বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। অভিযানে বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি মুদ্রা, স্বর্ণালঙ্কার, অবৈধ অস্ত্র ও মাদকসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারের পর র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, ‘অভিযানে আমরা জানতে পেরেছি রাজউকের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তার সঙ্গে যোগসাজশে রাজধানী ও আশপাশের এলাকায় দুই শতাধিক প্লট ও জমি দখল করেছে মনির। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ৩০টি প্লট রয়েছে বলে স্বীকারও করেছেন মনির।’
আরও পড়ুন: বিক্রয়কর্মী থেকে হাজার কোটির ব্যবসায়ী