যত্রতত্র বাস থামানো বন্ধে পরিকল্পিত বাস স্টপেজ নির্মাণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) এর ২৭ বছর উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।
‘সড়কের পাশে যত্রতত্র বাস থামানো বন্ধে পরিকল্পিত বাস স্টপেজ নির্মাণ করা হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে অপরিকল্পিত গতিরোধক দুর্ঘটনা ঘটায়, তাই সাড়ে পাঁচশ অপরিকল্পিত গতিরোধক এরই মাঝে অপসারণ করা হয়েছে।’
নিরাপদ ও ভ্রমণবান্ধব সড়ক নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা সরকারের অগ্রাধিকার জানিয়ে মন্ত্রী জানান, সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ আংশিকভাবে কার্যকর করা হলেও সকলের সহযোগিতায় এই আইন পূর্ণাঙ্গ কার্যকর করা হবে অচিরেই।
ওবায়দুল কাদের জানান, আধুনিক সড়ক ব্যবস্থাপনাযর অংশ হিসেবে উন্নত বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও রোড সেফটি অডিট চালু করা হয়েছে। এ পর্যন্ত সড়ক ও অধিদপ্তরের আওতাধীন প্রায় পাঁচশ কিলোমিটার মহাসড়কে রোড সেফটি অডিট পরিচালনা করা হয়েছে। বর্তমানে তিনশ কিলোমিটারে অডিট কার্যক্রম চলমান।
সড়কে উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, গত এক যুগে প্রায় সাড়ে চারশ কিলোমিটার মহাসড়ক চার বা আরও বেশি লেনে উন্নিত করা হয়েছে। গাড়ি চালক বিশেষ করে ট্রাক চালকদের জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে নির্মাণ করা হচ্ছে চারটি বিশ্রামাগার।
‘সড়ক দুর্ঘটনায় জীবন ও সম্পদের ক্ষতি কমিয়ে আনতে হাইওয়ে পুলিশের জনবল এবং সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি দেশের ২২ টি জাতীয় মহাসড়কে সিএনজি চালিত অটোরিকশা চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে।’
ওবায়দুল কাদেরের মতে, সড়ক ব্যবহারকারীদের একটি বড় অংশের মাঝে সচেতনতার অভাব প্রকট। তাই জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে এনজিও ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলোকে অধিকতর সম্পৃক্ত হওয়ার আহবান জানান।
জাতীয় প্রেসক্লাবে গোল টেবিল বৈঠকে সরাসরি ও ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন নিসচার চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, বিআরটিএ'র চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডক্টর শামসুল হক, পরিবহন মালিক - শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, রেগুলেটরি সংস্থার প্রতিনিধিগণ এবং সড়ক পরিবহনের সংশ্লিষ্ট অংশীজন।