বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দেশে এইচআইভি ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে

  •    
  • ১ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৪:০৩

দেশে গত বছর ২৭ হাজার ১৬৮ জন মানুষের এইচআইভি টেস্টিং এবং ৪১ হাজার ৩০৯ জনকে স্ক্রিনিং করা হয়। তাতে প্রায় এক হাজার রোগী শনাক্ত হয়। নতুন শনাক্তের মধ্যে ৭৪ শতাংশ পুরুষ, ২৫ শতাংশ নারী ও এক শতাংশ ট্রান্সজেন্ডার। শনাক্তের হার বেশি ২৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সীদের মধ্যে।

দেশে এইডসের ভাইরাস এইচআইভি নিয়ন্ত্রণে বেশ সাফল্য দেখাচ্ছে সরকার। ২০৩০ সালের মধ্যে এইচআইভিমুক্ত দেশ গড়তে কাজে দিচ্ছে নানা পদক্ষেপ।

স্বাস্থ্য অধিদফরের তথ্যে জানা গেছে, দেশে এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা সাত হাজার ৩৭৪ জন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে এক হাজার ২৪২ জনের।

প্রতিবেশী ভারতে চিত্রটা বেশ আতঙ্কজনক। দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম দেশটিতে ২১ লাখ এইচআইভি রোগী শনাক্ত হয়েছে, এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৬৯ হাজার জনের।

স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, নিয়মিত এইচআইভি টেস্টিং অ্যান্ড কাউন্সিলিং, আক্রান্ত ব্যক্তির জন্য পজিটিভ লিভিং কাউন্সিলিং, পুষ্টি, চিকিৎসার কারণে দেশে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে।

গত বছর ২৭ হাজার ১৬৮ জন মানুষের এইচআইভি টেস্টিং এবং ৪১ হাজার ৩০৯ জনকে স্ক্রিনিং করা হয়। তাতে প্রায় এক হাজার রোগী শনাক্ত হয়। নতুন শনাক্তের মধ্যে ৭৪ শতাংশ পুরুষ, ২৫ শতাংশ নারী ও এক শতাংশ ট্রান্সজেন্ডার। শনাক্তের হার বেশি ২৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সীদের মধ্যে।

সবচেয়ে বেশি এইডস রোগী শনাক্তের সংখ্যা ঢাকা বিভাগে। এ পর্যন্ত এই বিভাগে রোগী শনাক্ত হয়েছে দুই হাজার ৫৭২ জন। এর পরেই রয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগ, শনাক্তের সংখ্যা দুই হাজার আট জন।

এ ছাড়া সিলেট এক হাজার ১৯, রংপুর ৬৪, ময়মনসিংহে ৮৬, বরিশাল বিভাগে ১৭৯ জন এইডস রোগী রয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের টিবি ল্যাপ্রোসি ও এসটিডি এইডস কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. সামিউল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, আগের চেয়ে এইডস শনাক্তে সক্ষমতা বেড়েছে। সেই সঙ্গে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বেড়েছে। 

‘সারাদেশে এইডস রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ দেয়া হচ্ছে। গ্রামের মানুষকে এই সেবার আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। এই সেবায় সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান যুক্ত হয়েছে। এইচআইভি আক্রান্ত মা সুস্থ বাচ্চা জন্ম দেবে, এটা আগে কেউ কল্পনাও করতো না। এখন সেটা সম্ভব হচ্ছে।’

স্বাস্থ্য অধিদফতরের এইডস, এসটিডি প্রোগ্রামের সিনিয়র ম্যানেজার মো. আক্তারুজ্জামান নিউজবাংলাকে বলেন, সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে এইডস নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করছে। সারাদেশের ১২টি হাসপাতাল ও ২৮টি সেন্টারে নিয়মিত এই ভাইরাস শনাক্তে কাজ করা হচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে এই ভাইরাসের ওষুধও বিনামূল্যে দেয়া হচ্ছে। এ ছাড়া বিভিন্ন এনজিও কাজ করছে।

অধিদফতরের এই কর্মকর্তা জানান, বর্তমান বিশ্বে এইডস আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ৩৮ মিলিয়ন। এর মধ্যে নতুন আক্রান্ত ১৮ মিলিয়ন। দেশে বর্তমানে এইডস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজার। চিকিৎসার আওতায় এসেছে মাত্র সাত হাজার ৩৭৪ জন। এখনও শনাক্তের বাইরে রয়ে গেছে প্রায় ৭ হাজার। এদের মধ্যে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর আছে ১০৫ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. নাসিমা সুলতানা বলেন, এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া ব্যক্তি অনেকটা আত্মগোপনে বসবাস করে। সমাজে একটা কুসংস্কার রয়েছে এই রোগে যারা আক্রান্ত তারা অপরাধী বা বড় কোনো পাপ করেছে। এসব দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বের হয়ে আসতে হবে। সবাইকে সচেতন করে তুলতে হবে। তাহলে এ রোগ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।

প্রতিবারের মতো এবারও ১ ডিসেম্বর দেশে বিশ্ব এইডস দিবস পালিত হচ্ছে; প্রতিপাদ্য ‘সারা বিশ্বের ঐক্য, এইডস প্রতিরোধে সবাই নিব দায়িত্ব’।

এ বিভাগের আরো খবর