বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভাস্কর্য বিরোধীদের আর ছাড় নয়

  •    
  • ১ ডিসেম্বর, ২০২০ ১২:৪৮

ভাস্কর্য বিরোধীদের এক হাত নিয়ে ইনু বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু জন্মশতবার্ষিকীর সময় ও বিজয়ের মাসের প্রাক্কালে ভাস্কর্য ভেঙে ফেলার হুমকি দিয়ে পরাজিত শক্তি বাংলাদেশের সংস্কৃতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে।’

যারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভেঙে খেলার দৃষ্টতা দেখায়, তাদের আর ছাড় নয় বলে হুঁশিয়ার করেছেন জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু।

মহান বিজয়ের মাসের প্রথম দিন মঙ্গলবার সকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিখা চিরন্তনে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে এ কথা বলেন সাবেক তথ্যমন্ত্রী।

ভাস্কর্য বিরোধীদের এক হাত নিয়ে ইনু বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু জন্ম শতবার্ষিকীর সময় ও বিজয়ের মাসের প্রাক্কালে ভাস্কর্য ভেঙে ফেলার হুমকি দিয়ে পরাজিত শক্তি বাংলাদেশের সংস্কৃতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে।

‘আমি মনে করি, যারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙে ফেলার হুমকি দেয়, তারা কার্যত বঙ্গবন্ধুকে দ্বিতীয়বার হত্যা করতে চাচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করতে চাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘ভাস্কর্য ভেঙে ফেলার হুমকিদাতারা কার্যত একাত্তরের রাজাকারের দোসর, ৭৫ এর বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দোসর।’

সম্প্রতি রাজধানীর ধোলাইপাড়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণের বিরোধিতা করছে ধর্মভিত্তিক বেশ কয়েকটি দল। হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক হুমকি দিয়েছিলেন, ভাস্কর্য নির্মাণ হলে তিনি দেশে ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরের মতো পরিস্থিতি আবার তৈরি করবেন।

এই বক্তব্য দেয়ার পর দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিরোধের মধ্যে ওয়াজ করতে পারেননি মামুনুল হক যা শীতকালে তার আয়ের একটি বড় অংশ। গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতা-কর্মীরা তাকে প্রতিহতের ঘোষণা দিয়ে রাজপথে নামে। আর এই অবস্থায় তিনি শুক্রবার হাটহাজারীর আলোচিত মাহফিলে যোগ দেননি।

এই প্রতিরোধের মুখে পড়া মামুনুল রোববার সংবাদ সম্মেলনে এসে সুর নরম করেছেন। বলেছেন, ভুল তথ্য প্রচার করে তাকে প্রশাসনের মুখোমুখি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি ভাস্কর্যের বিরোধী হলেও এ নিয়ে কোনো ‘যুদ্ধে যাবেন না’।

তবে ভবিষ্যতে ক্ষমতা হলে সব ভাস্কর্য ভেঙে ফেলা হবে বলেও জানান হেফাজত নেতা।

ভাস্কর্য ভাঙার হুমকিদাতাদের অবিলম্বে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর আহ্বান জানিয়ে ইনু বলেন, ‘এই খুনির দোসরদের আর ছাড় দেয়া যায় না।

‘মনে রাখতে হবে, ভাস্কর্য ভাঙার ঘোষণা যারা দেয় তারা বাংলাদেশের আইন লঙ্ঘন করে। যারা ভাস্কর্যকে মূর্তিপুজার সঙ্গে তুলনা করে, তারা ধর্মের অপব্যাখ্যা দেয়। ধর্মের অপমান করে। সুতরাং ভাস্কর্য ভাঙার হুমকিদাতাদের আমরা অবিলম্বে গ্রেপ্তার চাই, ধ্বংস চাই ,বিচার চাই সাজা চাই।’

ভাস্কর্য বিরোধীদের কড়া সমালোচনা করেছেন সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের সভাপতি কে এম শফিউল্লাহও। বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণের বিরোধিতাকারীরা রাজাকার, পাকিস্তানি। এদের দেশ থেকে বের করে দেওয়া উচিত।

ভাস্কর্য বিরোধীরা রাজনৈতিক ফায়দা নিতে চাচ্ছে বলে মনে করেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সভাপতি ও সাবেক নৌ মন্ত্রী শাহজাহান খান।

‘বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে রাজনৈতিক খেলা চলছে। ঢাকা শহরের বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে বহু ভাস্কর্য আছে। এত দিন কিন্তু এই ধর্ম ব্যবসায়ীরা কোনো কথা বলেনি। আসলে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে কথা বলার পেছনে তাদের একটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে।’

শিখা চিরন্তনে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর সময় পয়লা ডিসেম্বর রাষ্ট্রীয়ভাবে মুক্তিযোদ্ধা দিবস পালনেরও দাবি জানান তারা।

এ বিভাগের আরো খবর