বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দুই বছরের মধ্যে জলাবদ্ধতামুক্ত ডিএসসিসি: মেয়র তাপস

  •    
  • ১ ডিসেম্বর, ২০২০ ১২:০২

মেয়র বলেন, কিছু ভূমিদস্যু ও দখলদার এই খালগুলো বছরের পর বছর দখল করে রেখেছে। আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই আমরা তা পুনরুদ্ধার করব।

দুই বছরের মধ্যে জলাবদ্ধতা থেকে ঢাকাবাসীকে মুক্ত করার আশ্বাস দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের  (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নুর তাপস।

মঙ্গলবার রাজধানীর জিরানী ও শ্যামপুর খালের বর্জ্য অপসারণ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে মেয়র এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘কিছু দিন আগেই স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে ঢাকার মধ্যে যে ১১টি খাল আছে তা ওয়াসা থেকে আমাদের দুই সিটি করপোরেশনকে দেয়া হয়েছে। ঢাকার জলাবদ্ধতার সবচেয়ে বড় কারণ বর্ষার পানি বের না হতে পারা। কিছু ভূমিদস্যু ও দখলদার এই খালগুলো বছরের পর বছর দখল করে রেখেছে। এ জন্য খাল পুনরুদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেছে ডিএসসিসি। আগামী বর্ষার আগেই খাল দখলমুক্ত করবে সিটি করপোরেশন।’

তিনি বলেন, ‘আমরা স্বল্পমেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। আগামী এক মাসের মধ্যে একটা কমিটির মাধ্যমে এই কার্যক্রম বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে কাজ করা হবে। স্বল্পমেয়াদি কার্যক্রম আমরা নিজ অর্থায়নে আরম্ভ করে দিয়েছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের প্রথম কাজ হচ্ছে সিএস খতিয়ান দেখে খাল দখলমুক্ত করে সীমানা নির্ধারণ করা। যারা অবৈধভাবে খাল দখল করে আছে তাদের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।’

এর আগে সকাল ১০ টায় জিরানী ও শ্যামপুর খালের বর্জ্য অপসারণ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিদর্শন করেন তিনি। ডিএসসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের উদ্যোগে দুই খালের বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম শুরু হয়।

মেয়র বলেন, আমরা সবগুলো খাল আস্তে আস্তে পুনরুদ্ধার করে একটা নান্দনিক পরিবেশ দেয়ার চেষ্টা করবো। খালগুলো যাতে পুনরায় দখল না হয়  তা আমরা দেখব। এ ছাড়া খালগুলোর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আলাদা পরিকল্পনা থাকবে।

মেয়র বলেন, আমরা আজ যে স্থানে দাঁড়িয়ে আছি তা দখল হয়ে যাওয়া খালের অংশ। এই বর্জ্য পরিষ্কার করা হবে।

ডিএসসিসি কর্তৃপক্ষ জানায়, করপোরেশনের আওতাধীন এলাকায় বিভিন্ন সংস্থার মৃতপ্রায় খাল ও জলাশয়গুলোতে পানিপ্রবাহ সৃষ্টির মাধ্যমে জলাবদ্ধতা নিরসনের চেষ্টা চলছে। বর্জ্য অপসারণ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের মাধ্যমে মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করে মশা নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে শ্যামপুর খাল ও ধানমন্ডি লেকে এই কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, এর আগে তারা শ্যামপুর খালের সীমানা নির্ধারণ এবং সীমানার মধ্যে থাকা আটটি অস্থায়ী অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেন। এ ছাড়া ২০টি স্থায়ী স্থাপনা চিহ্নিত করেছেন যা পরবর্তীতে উচ্ছেদ করা হবে।

তিনি জানান,শ্যামপুর খালটির অধিকাংশই বেদখল হয়ে যাওয়ার কারণে এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। মেয়রের নির্দেশনা মোতাবেক এই খালের সীমানা নির্ধারণ এবং অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম চলমান থাকবে।

এ বিভাগের আরো খবর