মুক্তিযুদ্ধ চলছে। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে অস্ত্র হাতে লড়ছে এক কিশোরী। বারুদের গন্ধ শরীরে নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য রান্নাও করছে। কখনও সংগ্রহ করছে হানাদার বাহিনীর খবর।
দুর্ধর্ষ সেই কিশোরীর অসীম সাহসিকতার জন্য দেয়া হয় ‘বীর প্রতীক’ খেতাব। সেই অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধা তারামন বিবির প্রয়াণ দিবস আজ।
শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে ২০১৮ সালের ১ ডিসেম্বর রাত দেড়টার দিকে কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলা সদরের নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন তারামন বিবি (৬২)।
১৯৫৭ সালে কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলার কাছারিপাড়ার শংকর মাধবপুর গ্রামে তারামন বিবির জন্ম।
রাজিবপুর উপজেলার শংকর মাধবপুরে ১১ নম্বর সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন তিনি।
মুক্তিযুদ্ধে সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ১৯৭৩ সালে তারামন বিবিকে ‘বীর প্রতীক’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়। তবে সেই সম্মাননা আনুষ্ঠানিকভাবে তার হাতে তুলে দিতে লেগে যায় ২২ বছর। নিভৃতে জীবনযাপন করা এই বীর যোদ্ধাকে খুঁজে পেতেই কেটে গিয়েছিল এতটা সময়।
শেষ পর্যন্ত ১৯৯৫ সালের ১৯ ডিসেম্বর সরকারের পক্ষ থেকে তারামন বিবির হাতে তুলে দেয়া হয় সেই সম্মাননা।