দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া খনি থেকে কয়লা চুরির মামলায় ২২ আসামিকে বিচারিক আদালতের দেয়া জামিন কেন বাতিল করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ।
সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করে।
এদিন তাদের জামিন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। আদালতে তিনি শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান নিউজবাংলাকে বলেন, কয়লা চুরির মামলায় দিনাজপুর বিশেষ জজ আদালত থেকে জামিন পাওয়া ২২ আসামির জামিন কেন বাতিল করা হবে না- জানতে চেয়ে দুই সপ্তাহের রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।
তিনি জানান, ২০০৬ সালের জানুয়ারি মাস থেকে ২০১৮ সালের ১৯ জুলাই পর্যন্ত ১ লাখ ৪৩ হাজার ৭২৭ দশমিক ৯২ মেট্রিক টন কয়লা চুরি হয় বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে; যার আনুমানিক মূল্য ২৩০ কোটি টাকার বেশি।
এ ঘটনায় বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) আনিসুর রহমান বাদী হয়ে ২০১৮ সালের ২৪ জুলাই পার্বতীপুর থানায় মামলা করেন।
মামলাটি দুদকের তফশিলভুক্ত হওয়ায় দুদক কার্যালয়ে হস্তান্তর করা হয়।
মামলায় গত বছরের ১৬ অক্টোবর দিনাজপুর বিশেষ জজ আদালত থেকে ১৯ জন এবং ১৪ নভেম্বর ৩ জন জামিন পায়। ওই জামিন বাতিল চেয়ে দুদকের পক্ষে আবেদন করা হয়।
জামিন বাতিলের আবেদন দেরি হওয়ায় হাইকোর্টে প্রথমে সেটি মার্জনা (ডিলেই কনডোন) আবেদন করা হয়। আদালত সেটি শুনানি নিয়ে আসামিদের জামিন বাতিলে রুল জারি করেছেন।
মামলার আসামিদের মধ্যে আছেন খনি প্রকল্পের সাবেক এমডি মাহবুবুর রহমান, আব্দুল আজিজ খান, প্রকৌশলী খুরশীদ আলম, প্রকৌশলী কামরুজ্জামান, আনিসুজ্জামান, প্রকৌশলী এসএম নুরুল আওরঙ্গজেব ও প্রকৌশলী হাবিব উদ্দীন আহমেদ।
আছেন সাবেক মহাব্যবস্থাপক শরিফুল আলম, আবুল কাশেম প্রধানিয়া, আবু তাহের মো. নুরুজ্জামান চৌধুরী, ব্যবস্থাপক মাসুদুর রহমান হাওলাদার, আরিফুর রহমান ও সৈয়দ ইমাম হাসান, উপ-ব্যবস্থাপক খলিলুর রহমান, মোর্শেদুজ্জামান, হাবিবুর রহমান, জাহিদুর রহমান, সহকারী ব্যবস্থাপক সতেন্ত্র নাথ বর্মন, মনিরুজ্জামান, কোল হ্যান্ডেলিং ম্যানেজমেন্টের ব্যবস্থাপক সোহেবুর রহমান, উপ-মহাব্যবস্থাপক একেএম খাদেমুল ইসলাম, ব্যবস্থাপক অশোক কুমার হাওলাদার ও উপ-মহাব্যবস্থাপক জোবায়ের আলী।