নকল এন-৯৫ মাস্ক সরবরাহের অভিযোগে জেএমআই-এর চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাকের জামিন কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। আগামী ১৩ ডিসেম্বর রুল শুনানির জন্য দিন ঠিক করেছে আদালত।
সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করে।
গত ১৫ অক্টোবর ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ তাকে জামিন দিয়েছিলেন। পরে ওই জামিন আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করে দুদক।
আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো খুরশীদ আলম খান। আসামির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এম কে রহমান ও আবদুর রাজ্জাক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহজাবিন রাব্বানী দীপা ও আন্না খানম কলি।
করোনার সময়ে কেন্দ্রীয় ঔষাধাগারের (সিএমএসডি) কয়েকজন কর্মকর্তার যোগসাজশে ২০ হাজার নকল এন-৯৫ মাস্ক আসল দেখিয়ে ১০টি হাসপাতালে সরবরাহ করার অভিযোগে আব্দুর রাজ্জাক, সিএমএসডির সাবেক উপপরিচালক ও কক্সবাজার মেডিকেলের তত্ত্বাবধায়ক জাকির হোসেন খানসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
মাস্ক কেলেঙ্কারির এই ঘটনায় তদন্ত এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়। পরে এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
দুটি চালানের মাধ্যমে মেসার্স জেএমআই হসপিটাল রিক্যুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেড তখন সিএমএসডিতে ২০ হাজার ৬০০ টি মাস্ক সরবরাহ করেছিল। চালানে মাস্কগুলোকে এন-৯৫ ফেস মাস্ক (অ্যাডাল্ট) হিসেবে উল্লেখ করা ছিল। কিন্তু কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের পরিদর্শনে উঠে আসে, যে মাস্ক সরবরাহ করা হয়েছে বাস্তবে তা এন-৯৫ মাস্ক নয়।
কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের ভাণ্ডার ও রক্ষণের তখনকার পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ এ নিয়ে জেএমআই হসপিটাল রিকুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেডকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জবাব দেয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
সেই চিঠির জবাবে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, মাস্ক তৈরি ‘ডেভেলপমেন্ট পর্যায়ে’ আছে। ভুলক্রমে সেগুলো সরবরাহ করা হয়েছে। চিঠিতে এমডি আব্দুর রাজ্জাক দেশের ‘পরিস্থিতি ও ব্যাখ্যা’ বিবেচনা করে সরবরাহ করা মাস্ক ফেরত নিয়ে ‘অনিচ্ছাকৃত ভুলের’ দায় মুক্তি চান।
চিকিৎসকরা তখন জানিয়েছিলেন, এসব নিম্নমানের মাস্ক ও পিপিইর কারণেই অনেক চিকিৎসক করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন। পরে আব্দুর রাজ্জাককে জিজ্ঞাসাবাদও করে দুদক।