বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মাদকাসক্ত আরও আট পুলিশ চাকরিচ্যুত

  •    
  • ৩০ নভেম্বর, ২০২০ ১৪:১৮

ডোপ টেস্টে মাদক সেবনের প্রমাণ পাওয়ার পর কুষ্টিয়ায় চাকরি হারিয়েছেন দুই জন এসআই, দুই জন এএসআই, চার জন কনস্টেবল। আরও দুই জন হারাতে যাচ্ছেন চাকরি। দুই জনের বিরুদ্ধে চলছে তদন্ত। এর আগে ঢাকায় চাকরি হারিয়েছেন ১০ জন।

ঢাকার ১০ পুলিশের পর এবার মাদকে আসক্ত আট পুলিশ সদস্যকে চাকরিচ্যুত করেছে কুষ্টিয়া পুলিশ। আরও দুই জনকে চাকরিচ্যুত করার প্রক্রিয়া চলছে।

যারা চাকরি হারিয়েছেন তাদের মধ্যে দুই জন উপপরিদর্শক (এসআই)। এরা হলেন হামিদুর রহমান ও নাজিম উদ্দিন।

আরও দুই জন আছেন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই)। এরা হলেন জাহাঙ্গীর আলম ও নাঈম মাহমুদ।

বাকি চার জন কনস্টেবল। এরা হলেন বিপ্লব হোসেন, সাইফুল ইসলাম, নাহিদ হাসান ও মাজহারুল ইসলাম।

পুলিশ জানায়, জেলায় ১২ জন পুলিশ সদস্যের ডোপ টেস্ট করা হয়েছিল। পরীক্ষায় ও অধিকতর তদন্তে চাকরিচ্যুত আট জনের নিয়মিত মাদক সেবনের বিষয়টি প্রমাণ হলে পুলিশ পরিদফতরের সিদ্ধান্তে এদেরকে চাকরিচ্যুত করা হয়।

আরও দুই জনের রিপোর্ট পজিটিভ আসায় তাদেরকে চাকরিচ্যুত করার প্রক্রিয়া চলছে।

ট্রাফিক পুলিশের এক জন সার্জেন্টসহ দুই জনের বিষয়ে তদন্ত চলছে।

সোমবার জেলা পুলিশ লাইনসে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান জেলার পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত।

তিনি বলেন, আইজিপির নির্দেশে মাদক কারবারিদের ধরতে অভিযান জোরদারের পাশাপাশি পুলিশেও শুরু হয় শুদ্ধি অভিযান। ২০১৯ সালের মে মাস থেকে কুষ্টিয়ায় কর্মরত পুলিশ সদস্যদের ডোপ টেস্ট করার উদ্যোগ নেয়া হয়।

সে সময় সহেন্দভাজন ও গোয়েন্দা থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে প্রথম কয়েকজন পুলিশ সদস্যের ডোপ টেস্ট করানো হয়।

গত দেড় বছরে পর্যায়ক্রমে ১২ জনের ডোপ টেস্ট করা হয়। পরীক্ষায় ১০ জন নিয়মিত মাদক সেবন করেন বলে রিপোর্ট (পজিটিভ) আসে।

তারপর এসব পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অধিকতর তদন্ত শুরু হয়। তদন্ত শেষে আট জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়।

মাদক সেবনকারী পুলিশ সদস্যরা বিভিন্ন থানা ও ক্যাম্পে কর্মরত ছিলেন।

পুলিশ সুপার বলেন, ‘মাদকের সঙ্গে কোনো আপস নয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইজিপিও মাদকের সঙ্গে জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তাই পুলিশে শুদ্ধি অভিযান চলছে, চলবে। পুলিশ ডিপার্টমেন্টে কোনো মাদক সেবনকারী থাকতে পারবে না।’

মাদক সেবনের বিষয়টি প্রমাণ হওয়ায় গত ২২ নভেম্বর ঢাকা মহানগর পুলিশের ১০ সদস্যকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তবে তাদের কারও নাম প্রকাশ করা হয়নি।

এই ১০ জন ছাড়াও ঢাকা মহানগর পুলিশে আরও ৫৮ জনের মাদক নেয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে সাত জন এসআই, একজন সার্জেন্ট, পাঁচ জন এএসআই, পাঁচ জন নায়েক ও ৫০ জন কনস্টেবল।

এ বিভাগের আরো খবর