ফেনীতে অপহরণের পর সামিউল আলম সামি (১৯) নামে এক কলেজছাত্রকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
স্বজনদের অভিযোগ, প্রেমঘটিত কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে।
সামি দাগনভূঞা সরকারি ইকবাল মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ও উপজেলার হীরাপুর গ্রামের মুজিব মুন্সী বাড়ির আফ্রিকাপ্রবাসী ইলিয়াছের ছেলে।
ফেনীর মহিপাল হাইওয়ে পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান, শুক্রবার রাতে জাতীয় জরুরি নম্বর ৯৯৯ থেকে ফোনের মাধ্যমে জানতে পেরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনী পৌর শহরের বিসিক শিল্পনগরী সেন্ট্রাল হসপিটাল সংলগ্ন এলাকা থেকে হাইওয়ে পুলিশের একটি দল তাকে উদ্ধার করে। পরে তাকে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
অবস্থার অবনতি হলে শনিবার রাতে ঢাকার কাকরাইলের ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতালে পাঠালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সামিউলের মৃত্যু হয়।
নিহতের পরিবার জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় সামিউলকে অজ্ঞাতপরিচয় দুর্বৃত্তরা গাড়িতে ফেনীর বিসিকে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে মারধর করে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর বিসিক এলাকায় ফেলে যায়। মহিপাল হাইওয়ে পুলিশের একটি দল গুরুতর আহত সামিউলেকে উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে পরে ঢাকা নেয়া হয়। শনিবার রাতে চিকিসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতাল থেকে নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। রোববার সন্ধ্যায় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
নিহতের খালাতো ভাই মোহাম্মদ আলমগীর জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় ব্যাডমিন্টন খেলার জন্য বের হয় সামিউল। পরে রাতে খবর পাই সে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে।’
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন বলেন, ‘এ ঘটনায় সামিউলের পরিবার থানায় মামলা করবে। তদন্তে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করা যাবে।’