বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আবরার হত্যা মামলায় মামার সাক্ষ্য

  •    
  • ৩০ নভেম্বর, ২০২০ ১২:৪৯

মহানগর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কারুজ্জামানের আদালতে তিনি সাক্ষ্য দেন। তিনি এ মামালার ৩৮তম সাক্ষী।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ রাব্বীকে পিটিয়ে হত্যার মামলায় রোববার আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন তার মামা আব্দুল কাদের।

মহানগর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কারুজ্জামানের আদালতে তিনি সাক্ষ্য দেন। তিনি এ মামালার ৩৮তম সাক্ষী।

এর আগে মামলার ৩৫তম সাক্ষী ঢাকা সিআইডির আইটি ফরেনসিক বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. রকিবুল হাসানের জেরা বাকি থাকায় রোববার তা নেন একই আদালত। বেলা ১১টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত জেরা চলে।

আসামি মো. শামিম বিল্লাহ, মো. মিজানুর রহমান মিজান ও এস এম মাহমুদ সেতুর পক্ষের আইনজীবী ফারুক আহাম্মদ জেরার সময় এসআই রকিবুলকে প্রশ্ন করেন, ফেসবুকের কথোপকথনের ফরেনসিক করার সময় কোন মেথড ব্যবহার করেছিলেন?

উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমাদের সিআইডি ফরেনসিক বিভাগে যে সব যন্ত্রপাতি আছে তাই দিয়ে চারটি মোবাইলের মডেল, এমআই নম্বর, সিম ও ফেসবুক মেসেঞ্জারের স্ক্রিনপ্রিন্টের কপি পাঁচ পাতা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করি।’

এরপর সাক্ষীকে পর্যায়ক্রমে জেরা করেন আইনজীবী মাহবুব আহমেদ, আমিনুল গণী টিটো ও মো. রেজা ।

অভিযোগ রয়েছে, ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ার জেরে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে ডেকে নেন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী। এরপর রাত তিনটার দিকে শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দোতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

পরদিন ৭ অক্টোবর দুপুরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়।

আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন।

তার বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় ১৯ জনের নামে হত্যা মামলা করেন। ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে ২৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান।

অভিযুক্ত ২৫ জনের মধ্যে এজাহারভুক্ত ১৯ জন এবং তদন্তে পাওয়া এজাহারবহির্ভূত ছয় জন রয়েছেন। এজাহারভুক্ত ১৯ জনের মধ্যে ১৬ জন এবং এজাহারবহির্ভূত ৬ জনের মধ্যে জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন আট জন।

গ্রেফতার ২২ জন হলেন মেহেদী হাসান রাসেল, মো. অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ সকাল, মো. মেহেদী হাসান রবিন, মো. মেফতাহুল ইসলাম জিওন, মুনতাসির আলম জেমি, খন্দকার তাবাক্কারুল ইসলাম তানভির, মো. মুজাহিদুর রহমান, মুহতাসিম ফুয়াদ, মো. মনিরুজ্জামান মনির, মো. আকাশ হোসেন, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মাজেদুর রহমান, শামীম বিল্লাাহ, মোয়াজ আবু হুরায়রা, এ এস এম নাজমুস সাদাত, ইসতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, অমিত সাহা, মো. মিজানুর রহমান ওরফে মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত, মোর্শেদ অমত্য ইসলাম ও এস এম মাহমুদ সেতু।

মামলার পলাতক তিন আসামি হলেন মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মুজতবা রাফিদ। তাদের মধ্যে প্রথম দুই জন এজাহারভুক্ত ও শেষের জন এজাহারবহির্ভূত আসামি।

১৫ সেপ্টেম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কারুজ্জামান আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এ সময় কারাগারে থাকা ২২ আসামি নিজেদের নির্দোষ বলে দাবি করেন।

তবে মামলার বাদী আবরারের বাবা আদালতের কাছে তার সন্তান হত্যার ন্যায় বিচার প্রার্থনা করেন ।

এ বিভাগের আরো খবর