স্কুলছাত্র হত্যা মামলার আট বছর পর রায় এসেছে কিশোরগঞ্জের একটি বিচারিক আদালত থেকে। রায়ে মেয়েকে ফাঁসি ও মাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।এছাড়া প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানাও করা হয়েছে।
রোববার কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ রায় দেন।
দণ্ডিতরা হলেন-কটিয়াদী উপজেলার পিপুলিয়া পাইকপাড়া এলাকার দুলাল ভূইয়ার মেয়ে জুয়েনা আক্তার ও তার স্ত্রী রিনা আক্তার। রায়ের সময় রীনা আদালতে উপস্থিত ছিলেন, তবে জুয়েনা পলাতক।
মামলার অপর আসামি জুয়েনার ১২ বছরের ছেলের বিচার চলছে শিশু আদালতে।
মামলায় বলা হয়, ২০১২ সালের ১০ মার্চ সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জ শহরের পূজার অনুষ্ঠান দেখতে গিয়ে তোফায়েলের সঙ্গে জুয়েনার ছেলের কথা কাটাকাটি হয়। সন্ধ্যায় বাসায় ফেরার পথে রাস্তায় রিনা ও জুয়েনা তোফায়েলকে লাঠি দিয়ে পেটায়। গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে পাঠানো হয় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তোফায়েল মারা যায়।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা আওলাদ হোসেন বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জ সদর থানায় তিন জনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আহসান হাবীব তিন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।
তোফায়েল জেলা শহরের আজিম উদ্দিন হাই স্কুলের অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত।