করোনাভাইরাস মহামারি প্রতিরোধের টিকা পাওয়া গেলে সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালেও দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
রোববার দুপুরে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএমসিএ) উদ্যোগে ‘করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা এবং ভ্যাকসিন’ বিষয়ক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে টিকা আবিষ্কারে জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।
ছোঁয়াচে এই ভাইরাস থেকে মানুষকে রক্ষায় কার্যকর টিকার উদ্ভাবনের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ফাইজার, মডার্না ও যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা।
এর মধ্যে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তিন কোটি ডোজ করোনা টিকা কিনতে সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া ও বাংলাদেশের বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি করেছে সরকার।
এর বাইরে নূন্যতম মূল্যে গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনস অ্যান্ড ইমিউনাইজেশনস-গ্যাভি’র মাধ্যমে ৬ কোটি ৮০ লাখ ডোজ টিকা পাওয়ার আশা করছে সরকার।
করোনা ভাইরাসের টিকা বাজারে আসার সঙ্গে সঙ্গেই বাংলাদেশ পাবে বলে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারিভাবে বিতরণে পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে এই টিকা নিশ্চিত করা হবে।’
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় বেসরকারি হাসপাতালে করোনা রোগীর জন্য বেড সংখ্যা আরও বাড়ানোর আহ্বান জানান জাহিদ মালেক।
‘সরকারি হাসপাতালগুলোতে করোনা রোগীদের জন্য ১০ শতাংশ বেড রয়েছে। দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় এ সংখ্যা ২০ শতাংশ করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
গত ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসে প্রথম শনাক্তের খবর জানানো হয়। এর ১০ দিনের মাথায় ১৮ মার্চ করোনায় দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে সরকার। এখন দেশে সংক্রমণের অষ্টম মাস চলছে।
রোববার পর্যন্ত দেশে করোনা শনাক্তের সংখ্যা চার লাখ ৬২ হাজার ৪০৭ জন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ছয় হাজার ৬০৯ জনের।