লালমনিরহাটের বুড়িমারীতে গুজব ছড়িয়ে শহীদুন্নবী জুয়েলকে পিটিয়ে হত্যার পর লাশ পুড়িয়ে ফেলার মামলায় আরও এক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) বলছে, শনিবার সন্ধ্যায় গ্রেফতার মো. ফরিদুল ইসলাম (৩৭) গত ২৯ অক্টোবর শহীদুন্নবী জুয়েলকে পুড়িয়ে মারতে কাঠ, পাটখড়ি ও কেরোসিন তেল এনে আগুন ধরিয়ে দেয়ার কাজে জড়িত ছিলেন।
এ জন্য ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনে রোববার দুপুর তাকে তিন দিন হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞসাবাদের আবেদন জানানো হয় লালমনিরহাটের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আমলি আদালত-৩ এ। শুনানি শেষে বিচারক বেগম ফেরদৌসী বেগম তিন দিনেরই রিমান্ডে দেন।
গত ২৯ অক্টোবর বিকেলে পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে তর্কাতর্কির পর ধর্ম অবমাননার অভিযোগ এনে পিটিয়ে হত্যা করা হয় ৫০ বছর বয়সী শহীদুন্নবী জুয়েলকে। পরে তার দেহ পেট্রল ঢেলে জ্বালিয়ে দেয়া হয়।
ঘটনার সময় শহীদুন্নবী জুয়েলের সঙ্গী ৫১ বছর বয়সী সুলতান জোবায়ের আব্বাসও আহত হন। একপর্যায়ে পুলিশ তাকে হেফাজতে নেয়।
রোববার আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন লালমনিরহাট ডিবির পরিদর্শক মাহমুদুন্নবী। তিনি বলেন, ফরিদুল ইসলাম সেদিন শহীদুন্নবী জুয়েলকে পুড়িয়ে মারার জন্য কাঠ, পাটখড়ি ও কেরোসিন তেল এনে আগুন ধরিয়ে দেয়ার কাজে সরাসরি সম্পৃক্ত। তাই ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের জন্য তাকে তিন দিনের রিমান্ড নেয়া হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যায় বুড়িমারীর উফারমারা নাটারপাড়া থেকে ফরিদুলকে গ্রেফতার করে ডিবি। তাকে নিয়ে আলোচিত ঘটনায় করা তিন মামলায় ৪০ আসামিকে গ্রেফতার করেছে লালমনিরহাট ডিবি ও পাটগ্রাম থানা পুলিশ। তাদের মধ্যে ফরিদুলসহ ১৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।