বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

টুইটার ভুলেছেন খালেদা জিয়া

  •    
  • ২৯ নভেম্বর, ২০২০ ০৯:২৮

অ্যাকাউন্ট উদ্বোধন ২০১৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর। সবশেষ টুইট ২০১৮ সালের ২৫ জানুয়ারি। গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘সম্মেলন করে বিক্ষোভ করে যেখানে কাজ হয় না, টুইট করেই বা আর কী হবে।’

চার বছর আগে বেশ ঘটা করে টুইটারে নাম লিখিয়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগের এই মাধ্যমটিতে এখন আর তার পদচারণা নেই।

প্রায় তিন বছর হতে চলল, টুইটে কোনো পোস্ট নেই সাবেক প্রধানমন্ত্রীর।

বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, ‘এখন ম্যাডাম বাইরে আছেন, কিন্তু আসলে তো মুক্ত নন। কে জানে টুইট করতেও কোনো বাধা আছে কি না।’

এর মধ্যে অবশ্য বিএনপি নেত্রীর রাজনৈতিক জীবনে সবচেয়ে বড় ঘটনার একটি ঘটেছে। দুর্নীতির দুই মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে তার।

আইনি লড়াইয়ে মুক্ত হতে না পারার পর সরকারের বিশেষ বিবেচনায় সাময়িক মুক্তি নিয়ে তিনি নিজেকে কার্যত গৃহবন্দি করে রেখেছেন।

গত মার্চে প্রথমে ছয় মাসের জন্য এবং পরে আরও ছয় মাসের জন্য মুক্তি মিলেছে বিএনপি নেত্রীর। এই সময়ে রাজনীতি নিয়ে তিনি কোনো বক্তব্য, বিবৃতি দেননি। দলীয় কোনো বৈঠকেও অংশ নেননি। এমনকি টুইটার অ্যাকাউন্টটিও অব্যবহৃত রয়ে গেছে।

২০১৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ঢাকায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে অনুষ্ঠান করে খালেদা জিয়ার টুইটার অ্যাকাউন্ট এর উদ্বোধন করা হয়। এর নাম রাখা হয় BegumZiaBd।

এরপর নিজের বক্তব্য, বিএনপির অবস্থান তুলে ধরা হতে থাকে এতে। দেড় বছরে এই অ্যাকাউন্ট থেকে টুইট করা হয় মোট ১৯৯টি।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাজা হওয়ার প্রায় দুই সপ্তাহ আগে ২৫ জানুয়ারি সব শেষ টুইট করা হয় অ্যাকাউন্টটি থেকে।

খালেদা জিয়ার সবশেষ টুইট

বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং এর সদস্য শায়রুল কবির খান জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার অনুমতি নিয়ে তার নির্দেশনা অনুযায়ী টুইটগুলো করতেন দলের চেয়ারপারসনের প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সোহেল।

মারুফ কামাল কোথায়?- জানতে চাইলে শায়রুল কবির বলেন, ‘একটু ঝামেলা আছে, তার ফোন নম্বরটা দিতে পারছি না।’

২০১৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর নিজের নামে টুইটার অ্যাকাউন্ট উদ্বোধন করছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া

 

টুইট নেই, তাই ফলোয়ারের সংখ্যাও কমছে। বিএনপি নেত্রীর অ্যাকাউন্টে ফলোয়ারের সংখ্যা এক লাখ ১০ হাজারের কিছু বেশি। তবে বর্তমানে ফলো করছেন মাত্র ৩৫ জন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় নিউজবাংলাকে বলেন, ‘টুইটার অ্যাকাউন্ট ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) ব্যক্তিগত জিনিস। কেন একটিভ না তা ম্যাডাম ভালো জানে৷ তবে আমার যেটা মনে হয়, একচেটিয়া শাসন যেভাবে কোণঠাসা করে রাখছে আমাদের, সেখানে কারোরই মন মেজাজ ভালো নেই৷’

‘সম্মেলন করে বিক্ষোভ করে যেখানে কাজ হয় না, টুইট করেই বা আর কী হবে’-হতাশার সুরে বলেন বিএনপি নেতা।

দলের স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘মানুষ স্বাধীনভাবে নিশ্বাস নিতে পারে না যে শাসনামলে, সেখানে সবকিছুই অর্থহীন। তবে আমি বিস্তারিত কিছু বলতে পারছি না।’

খালেদার উদ্বোধন করা ওয়েবসাইটও পিছিয়ে

নিজের টুইটার অ্যাকাউন্ট উদ্বোধনের দিন অনলাইনে বিএনপির আরও কয়েকটি প্রোফাইল তৈরি করেন।

সেদিন বিএনপির নামে ওয়েবসাইট (www.bnpbangladesh.com), ফেইসবুক (bnp.communication), টুইটার (bnpbangladesh) ও ব্লগ (www.bangladeshivoices.blogspot.com) অ্যাকাউন্টও উদ্বোধন করেন খালেদা জিয়া।

এর মধ্যে www.bnpbangladesh.com সার্চ দিলে ওয়েবসাইটটি পাওয়া যায়নি। লেখা আসে- “BNP’s official website returns soon”।

বিএনপির অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে গেলে আসে এই লেখা

bnp.communication ব্লগের ফেসবুক পেজেও কার্যক্রম নেই। পেজটিতে লাইক দেয়ার সংখ্যা ১০ হাজার ৪৬৪ জন। ফলোয়ার সংখ্যা ১০ হাজার ৫৭৩ জন।

এই পেজে সবশেষ পোস্টটি করা হয়, চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি।

টুইটার bnpbangladesh এ গেলে দেখা যায়, সম্প্রতি সময়ে সেখানে কোনো কার্যক্রমই নেই। ফলোয়ার সংখ্যা মাত্র ১৯৬ জন। তবে বর্তমানে ফলো করছেন না কেউই। মোট ৭২৬ টুইটের সবশেষটি ২০১৮ সালের ৫ জুন।

Bangladesh Nationalist Party নামে আরও একটি টুইটার অ্যাকাউন্ট পাওয়া যায়। এই অ্যাকাউন্টে ফলোয়ার সংখ্যা দুই হাজার ৮৩ জন হলেও তেমন কার্যক্রম নেই।

২০১৮ সালের মে মাসে টুইটার অ্যাকাউন্টটির যাত্রা শুরু। এই অ্যাকাউন্টে ১৭২টি টুইটের সবশেষটি করা হয় চলতি বছরের ১৫ মে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিএনপির দলীয় ফ্লাটফর্মগুলোর মধ্যে তুলনামূলক অ্যাকটিভ www.bangladeshivoices.blogspot.com নামের ব্লগ সাইটটি।

বিএনপির ব্লগ সাইট

শুরুর বছর ২০১৬ সালে অ্যাকাউন্টটিতে পোস্ট করা হয় ১৬৭টি আর্টিক্যাল; ২০১৭ সালে ১২২টি।

সবচেয়ে বেশি ব্লগ পোস্ট করা হয় ২০১৮ সালে, ২০২৬টি।

পরের বছর ব্লগ পোস্টের সংখ্যায় ভাটা পড়ে। ২০১৯ সালে পোস্ট করা হয় ৪৫৫টি। চলতি বছর ২০ নভেম্বর পর্যন্ত পোস্ট পড়েছে ১৩৫টি।

বিশ্বের রাষ্ট্রনেতাদের অধিকাংশই সামাজিক যোগাযোগ মাধ‌্যমে সক্রিয় তৎপরতা থাকলেও বাংলাদেশে সেই প্রবণতা খুব একটা নেই।

বাংলাদেশকে তথ্য প্রযুক্তির দিক থেকে অনেক এগিয়ে নিলেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনো ধরনের অ্যাকাউন্ট নেই বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। তবে তার নামে ফেসবুকে ভুয়া অ্যাকাউন্টের অভাব নেই। তবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জনসাধারণকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর