শিশুর মরদেহ উদ্ধারের ১২ দিন পর তাকে হত্যার কথা স্বীকার করে মা জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোরেলগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) ঠাকুর দাশ মন্ডল নিউজবাংলাকে জানান, ‘জিনের আছরের’ কারণে তিনি এ ঘটনা ঘটান বলে পুলিশকে জানিয়েছেন।
বাগরেহাটের বিচারিক হাকিম খোকন হোসেনের আদালতে শুক্রবার রাতে ওই মায়ের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।
ওসি (তদন্ত) ঠাকুর দাশ মন্ডল বলেন, ‘শুক্রবার পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে মা শান্তা আক্তার তার ১৮ দিনের মেয়েকে নিজেই বিছানা থেকে নিয়ে পুকুরে ফেলে হত্যার কথা স্বীকার করেন। পুলিশ পরে তাকে বাগেরহাটের আদালতে পাঠায়।’ ‘আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন শান্তা। পরে ম্যাজিস্ট্রেট তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা সুজন খান কারাগারে আছেন বলে জানান তিনি।’ আরও পড়ুন: পুকুরে ভাসছিল চুরি হওয়া শিশুর মরদেহ
১৫ নভেম্বর রাতে ১৮ দিনের শিশু সোহানাকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে সুজন খান ও শান্তা আক্তার দম্পতি। মধ্যরাতে ঘুম ভেঙে তারা দেখেন শিশুটি বিছানায় নেই। এর পর ঘুমন্ত শিশু চুরির খবর ছড়িয়ে পড়ে।
পরদিন পুলিশের একাধিক টিম শিশুটিকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করে। ওই দিন অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে মোরেলগঞ্জ থানায় মামলা করেন শিশুটির দাদা আলী হোসেন খান। ১৮ নভেম্বর ভোরে ফজরের নামাজের পর নিজ ঘরের সামনের পুকুরে নাতনির মরদেহ ভাসতে দেখেন আলী হোসেন।
পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় বাবা সুজন খানকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। কিন্তু তার কাছ থেকে তেমন কোনো তথ্য না পেয়ে মাকে সন্দেহ করে পুলিশ। পরে তাকে থানা হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।