বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ধর্ষণ: ২০ বছর ধরে বন্দি, মুক্তির আবেদন নাকচ

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২৬ নভেম্বর, ২০২০ ২১:১০

যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া আলম মুন্সী ২০ বছর ধরে বন্দী। বয়স এখন ৫৩ বছর। তার স্ত্রী, তিন সন্তান ও বৃদ্ধা মা আছেন। এই বিবেচনায় বাকি সাজা থেকে অব্যাহতির আবেদন করেছিলেন তিনি।

ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজার পর ২০ বছর কারাগারে থাকা এক আসামির বিশেষ বিবেচনায় মুক্তির আবেদন নাকচ করেছে আপিল বিভাগ।

বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনসহ আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছে।

বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান ও বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

এই আদেশের ফলে পটুয়াখালীতে ধর্ষণ মামলায় সাজা পাওয়া আলম মুন্সীকে পুরো মেয়াদেই থাকতে হবে কারাগারে।

এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করা ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিত দেবনাথ নিউজবাংলাকে বলেন, এই মামলায় হাইকোর্টের রায়ে পর্যবেক্ষণ দিয়ে বলা হয়, একজন বিবাহিত নারী যখন আদালতে দাঁড়িয়ে বলেন, ওই ব্যক্তি তাকে ধর্ষণ করেছেন, তখন ধরেই নিতে হয় তিনি মিথ্যা বলেন না। কারণ আমাদের সমাজ ব্যবস্থা ধর্ষণের শিকার নারীকে অনেক সময় বাঁকা চোখে দেখে থাকে। পর্যবেক্ষণটি আপিল বিভাগের শুনানিতে পেশ করা হয়েছে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ১৯৯৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর পটুয়াখালীর কলাপাড়া থানার চরপাড়া গ্রামে এক নারীকে ধর্ষণ করেন আসামি আলম মুন্সী। পরদিন কলাপাড়া থানায় মামলা করেন ওই নারী।

২০০০ সালের ১৬ আগস্ট পটুয়াখালীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালত-২ আলম মুন্সীকে যাবজ্জীবন সাজা দেয়।

রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন আসামি। তবে আপিল খারিজ করে হাইকোর্ট ২০০৪ সালের ১৭ আগস্ট সাজা বহাল রাখে। এর বিরুদ্ধে ২০০৫ সালে আপিল বিভাগে আবেদন করেন।

সম্প্রতি আপিল বিভাগে আসামি আরও একটি আবেদন করেন। তাতে বলা হয়, তিনি ২০ বছর তিন মাস সাজা ভোগ করে ফেলেছেন। তার বয়স এখন ৫৩ বছর। তার স্ত্রী, তিন সন্তান ও বৃদ্ধা মা আছেন। এই বিবেচনায় তাকে যেন বাকি সাজা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ৩০ বছর। তবে ভালো ব্যবহার বা কাজ, আইন মান্য করা, সরকারি বিশেষ নির্দেশ মানাসহ নানা কারণে সাজায় রেয়াত দেয়া হয়। তখন সাজা কমে আসে।

আলম মুন্সী কত দিন রেয়াত পাবেন, সেটা জানাতে পারেননি আইনজীবীরা।

এ বিভাগের আরো খবর