বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলার অভিযোগ গঠনের আংশিক শুনানি

  •    
  • ২৬ নভেম্বর, ২০২০ ২১:০২

মামলার অন্যতম আসামি মারুফ রেজা ঘটনার সময় শিশু দাবি করে শিশু আদালতে বিচারের জন্য হাইকোর্টে গেছেন বলে গত ৯ নভেম্বর বিচারিক আদালতে আইনজীবীর সনদপত্র জমা দেন।

রাজধানীর চাঞ্চল্যকর সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলায় অভিযোগ গঠনের আংশিক শুনানি হয়েছে বৃহস্পতিবার।

এক আসামির প্রবীণ আইনজীবীর সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ দিন শুনানি মুলতবি করা হয়। আগামী ২ ডিসেম্বর অধিকতর শুনানির তারিখ রেখেছেন ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কেএম ইমরুল কায়েশ। 

কারাগারে থাকা আসামিদের বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করা হয়। এরপর আসামি নিহত সগিরা মোর্শেদের ভাসুর ডা. হাসান আলী চৌধুরী, তার স্ত্রী সায়েদাতুল মাহমুদা ওরফে শাহীন, শ্যালক আনাস মাহমুদ ওরফে রেজওয়ানের পক্ষে তাদের আইনজীবী মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন করেন।

এসময় অন্য আসামি মারুফ রেজার পক্ষে সময় আবেদন করেন প্রবীণ আইনজীবী সৈয়দ রেজাউর রহমান। আবেদনে তিনি বলেন, ‘আমি প্রথমবার এই মামলায় আপনার কাছে সময়ের আবেদন করেছি। মেহেরবানি করে একটি ছোট তারিখ ধার্য করুন।’

তখন বিচারক ইমরুল কায়েশ বলেন, ‘সিনিয়র আমি আর সময় দিতে পারব না। প্লিজ, আমাকে আর সময় দিতে বলবেন না। কারণ আট-দশ মাস যাবত এই মামলায় বারবার সময় নিয়ে আদালতের মূল্যবান সময় নষ্ট করা হচ্ছে। এর আগে এই মামলার আইনজীবীরা মুচলেকা দিয়ে সময় নিয়েছেন।’

বিচারক আরও বলেন, 'আইনজীবী কাজল সাহেবের কোভডি-১৯ এর কথা বলে শেষবার সময় নিয়েছেনে। তাই আমার পক্ষে আর সময় দেয়া সম্ভব নয়। এমনিতেই ৩১ বছরের পুরোনো মামলা এটা। আপনাকে সময় দিলে সামনের তারিখে আবার অন্য একজন সময় চাইবেন। প্লিজ, আমি আর সময় দিতে পারব না।’

এরপর রাষ্ট্রপক্ষে অভিযোগ গঠনের যৌক্তিকতা তুলে ধরে শুনানি করেন মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি তাপস কুমার পাল।

এরপর আসামিপক্ষে শুনানি করনে আইনজীবী এহসানুল হক সমাজি। তিনি আদালতকে বলেন, ২০১৯ সালের ১১ ফেব্র্রুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ডেকে নিয়ে গ্রেফতার করেন।

তিনি বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি যে ফরম পূরণ করার মাধ্যমে লিপিবদ্ধ করা হয় তা সঠিক পদ্ধতিতে করা হয়নি। তাছাড়া আসামি মারুফ রেজা সে সময় অপ্রাপ্তবয়স্ক ছিলেন।

তখন সৈয়দ রেজাউর রহমান দাঁড়িয়ে বলেন, ‘আমি মামলার নথিটি আজকে পেয়েছি। তাই দেখার সুযোগ হয় নাই।’

বিচারক তখন ২ ডিসেম্বর অভিযোগ গঠনের অধিকতর শুনানির জন্য তারিখ রাখেন।

এ সময় বাদী সগিরা মোর্শেদের স্বামী আব্দুস সালামের ব্যক্তিগত আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া ও ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌসুঁলি আবদুল্লাহ আবু উপস্থতি ছলিনে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই সগিরা মোর্শেদ সালাম ভিকারুননিসা নুন স্কুল থেকে মেয়েকে আনতে যাচ্ছিলেন। বিকেল ৫টার দিকে সিদ্ধেশ্বরী রোডে পৌঁছামাত্র মোটরসাইকেলে আসা ছিনতাইকারীরা তার হাতের সোনার চুড়ি ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। তিনি দৌড় দিলে তাকে গুলি করা হয়। পরে হাসপাতালে নেয়ার পথে সগিরা মারা যান।

এ অভিযোগ এনে সেদিনই রমনা থানায় অজ্ঞাতপরিচয়দের আসামি করে মামলা করেন সগিরা মোর্শেদ সালামের স্বামী সালাম চৌধুরী।

এ বিভাগের আরো খবর