করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ধাক্কা মোকাবিলায় স্বাস্থ্যবিধি মানা নিশ্চিত করতে রাজধানীর শাহবাগ, ফার্মগেট, সিটি কলেজ থেকে মোহাম্মদপুর ও মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়েছে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত এ অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে মাস্ক না পরায় বিভিন্ন জনকে জরিমানা করে র্যব। একই সঙ্গে দরিদ্র ও অস্বচ্ছলদের মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে।
শাহবাগ: ঢাকা জেলা প্রশাসনের এক ম্যাজিস্ট্রেটকে নিয়ে শাহবাগে অভিযান চালান র্যাবের ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু।
এ বিষয়ে পলাশ কুমার নিউজবাংলাকে বলেন, শাহবাগ মোড়ে বেলা ১১টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত র্যাব-৩ ও ঢাকা জেলা প্রশাসন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা ও মাস্ক বিতরণ করে। সে কর্মসূচিতে মানুষকে মাস্ক ব্যবহারে সচেতন করা হয়েছে।
‘বিভিন্ন পরিবহনের ভেতরে গিয়েও আমরা মাস্ক বিতরণ করেছি। মাস্ক কেন ব্যবহার করতে হবে, সে বিষয়ে ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে। যাদের কাছে মাস্ক পাই নাই, তাদের মাস্ক বিতরণসহ জরিমানা করেছি’, বলেন পলাশ।
র্যাবের এ কর্মকর্তা জানান, অভিযানে ৩১টি মামলা হয়েছে। বিভিন্ন জনকে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
ফার্মগেট: র্যাবের ম্যাজিস্ট্রেট আক্তারুজ্জামান ওই অভিযান পরিচালনা করেন।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ফার্মগেট এলাকায় বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত মাস্কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার বিষয়ে সবাইকে সচেতন করতে র্যাব-১-এর সহায়তায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা ও মাস্ক বিতরণ কর্মসূচি পালন করি। এখানে ৫৫ জনের নামে মামলা হয়। উক্ত মামলায় ১০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হয়।
‘এ ছাড়া এখানে আমরা ২০০ থেকে আড়াইশটি মাস্ক বিতরণ করি। মূলত এই অভিযানটি সচেতনতামূলক অভিযান ছিল। ভবিষ্যতে আমাদের এই অভিযান আরও জোরদার করা হবে।’
সিটি কলেজ থেকে মোহাম্মদপুর: সিটি কলেজ থেকে জিগাতলা হয়ে মোহাম্মাদপুর বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করেন র্যাবের ম্যাজিস্ট্রেট নাদির শাহ।
তিনি বলেন, ‘র্যাব-২-এর সহযোগিতায় ঢাকা সিটি কলেজের উল্টা দিক থেকে অভিযান শুরু করে জিগাতলা বাসস্ট্যান্ড, ধানমন্ডি-১৫ হয়ে মোহাম্মাদপুর বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে অভিযান শেষ করি। অভিযানটি সকাল ১১টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত চলে।
তিনি বলেন, ‘৭০ থেকে ৮০ শতাংশ মানুষের কাছে মাস্ক ছিল। যারা অর্থাভাবে মাস্ক কিনতে পারেন না, এমন ১৫০ জনকে আমরা মাস্ক বিতরণ করেছি। যারা ইচ্ছা করেই মাস্ক ব্যবহার করেন না, এমন ৯ জনকে জরিমানা করেছি ২৬০০ টাকা।
‘সর্বনিম্ন ৫০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়। ভবিষ্যতে আরও কঠোর অভিযান চালাব।’
মিরপুর: অভিযান শেষে ম্যাজিস্ট্রেট আনিসুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মাস্ক ব্যবহারে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য মিরপুর বাংলা কলেজের সামনে থেকে মিরপুর এক নম্বর পর্যন্ত দুপুর সোয়া একটা থেকে সোয়া চারটা পর্যন্ত একটা সচেতনতামূলক অভিযান চালিয়েছি। এ সময় শতাধিক দরিদ্র ব্যক্তির মাঝে আমরা বিনা মূল্যে মাস্ক বিতরণ করেছি। অভিযানে আমাকে সহযোগিতা করেছে র্যাব-৪।
‘এই অভিযানে যারা বিনা কারণে মাস্ক ব্যবহার করেন নাই, এমন ১২ জনকে ছয় হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা করেছি। সর্বনিম্ন ২০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।’
চারটি অভিযানে ১০৭ জনকে জরিমানা করা হয়েছে।