১২ বছর আগে ভারতের মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে ঢাকায় সমাবেশ ও মিছিল করেছে বাংলাদেশ সোশ্যাল অ্যাক্টিভিস্ট ফোরাম (বিএসএএফ) নামের একটি সংগঠন। বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের এই সমাবেশ থেকে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে সংগঠিত জঙ্গী হামলা ও সন্ত্রাসী তৎপরতার প্রতিবাদ জানানো হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, কোনো ধর্মই সহিংসতা সমর্থন করে না। উগ্রবাদ ও নৈরাজ্যের মাধ্যমে শান্তি নয় কেবল বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে। শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য চাই ধর্মের শান্তিময় শিক্ষার বাস্তবায়ন।
সমাবেশে বক্তারা বিশ্বের এক ইঞ্চি জমিও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও জঙ্গিবাদ প্রসারের কাজে ব্যবহার করতে না দিতে সব শান্তিকামী রাষ্ট্র এবং মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
বিএসএএফের প্রধান সমন্বয়ক মুফতি মাসুম বিল্লাহ নাফিয়ীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি এম এ জলিল, বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া, আওয়ামী যুবলীগের নির্বাহী সদস্য মানিক লাল ঘোষ প্রমুখ।
২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর মুম্বাইয়ের তাজ হোটেল ও ছত্রপতি শিবাজি রেলওয়ে স্টেশনসহ প্রায় ১২টি স্থাপনায় সন্ত্রাসী হামলায় ১৬৬ জন নিহত হন।
সে সময় ১০ জন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জঙ্গি মুম্বাইসহ প্রায় পুরো দেশকে তিন দিন ধরে অচল করে রেখেছিল।
হামলাকারীদের মধ্যে আজমল কাসাব নামের একজনকে আটক করা হয়। পরে ২০১২ সালের ২১ নভেম্বর ভারতে তার ফাঁসি কার্যকর হয়। অন্য হামলাকারীরা নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গোলাগুলিতে নিহত হন।
পাকিস্তান প্রথম দিকে ওই হামলার সঙ্গে নিজেদের সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করে। পরে কাসাব ও ওই হামলার মূল পরিকল্পনাকারীরা পাকিস্তানি নাগরিক বলে প্রমাণিত হলে পাকিস্তান বিষয়টি স্বীকার করে নেয়।
বিএসএএফের সমন্বয়ক মাসুম বিল্লাহ নাফিয়ী তার বক্তব্যে মুম্বাই হামলার পাশাপাশি যশোরে উদীচীর অনুষ্ঠানে বোমা হামলা, রমনা বটমূলে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলা ও ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণ করেন।
তিনি বলেন, ‘উগ্রবাদীরা বিশ্বশান্তি ও উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় বড় বাধা। এরা পৃথিবীজুড়ে ধর্মীয় সম্প্রীতিও নষ্ট করছে।’