কুমিল্লার বরুড়া পৌরসভার স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা জহিরুল ইসলামকে (৩৫) পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এর আগে তার সঙ্গী মো. রানাকে (২২) কুপিয়ে আহত করা হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে বরুড়া উপজেলার উত্তর শীলমুড়ি ইউনিয়নের জীবনপুর গ্রামের হাশেম মার্কেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, জমি নিয়ে জীবনপুর গ্রামের দুই পরিবারের দীর্ঘ দিনের বিরোধ মেটাতে সেখানে গিয়েছিলেন জহিরুল ও রানা।
নিহত জহিরুল ইসলাম বরুড়া পৌরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি উপজেলার উত্তর শীলমুড়ি ইউনিয়নের জিমসার গ্রামের আবদুল মালেকের ছেলে। আহত রানা একই গ্রামের সাহেব আলীর ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, জীবনপুর গ্রামের আবাদ হোসেন ও সিব্বির আহমেদের পরিবারের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ দীর্ঘ দিনের। বৃহস্পতিবার দুপুরে বিরোধ মীমাংসার জন্য জীবনপুর গ্রামের হাশেম মার্কেটের সামনে যান জহিরুল ও রানা। এক পর্যায়ে আবাদ ও সিব্বিরের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। রানা সংঘর্ষ থামাতে গেলে ট্যাঁটার আঘাত পান। তাকে কে আঘাত করে তা বোঝা যায়নি।
তখন রানাকে বাঁচাতে জহিরুল এগিয়ে গেলে তার ওপর চড়াও হন আবাদের ছেলে মাসুদ। মাসুদ ছেনি দিয়ে জহিরুলের মাথায় আঘাত করেন। এতে জহিরুল মাটিতে পড়ে যান। তখন তাকে লাঠি দিয়ে পেটাতে থাকেন মাসুদ।
গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা জহিরুল ও রানাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। সেখানে চিকিৎসক জহিরুলকে মৃত ঘোষণা করেন। রানা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন
জহিরুল ইসলামের ছোটভাই জোবায়ের বলেন, ‘রানাকে বাঁচাতে গেলে মাসুদ আমার ভাইয়ের মাথায় কোপ দেয়। আমি এই হত্যার বিচার চাই।’
বরুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার মজুমদার জানান, এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই জনকে আটক করা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সদর দক্ষিণ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রশান্ত পাল জানান, ঘটনার কারণ জানা যায়নি; তদন্ত চলছে।