ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে খালগুলোর নিয়ন্ত্রণ ওয়াসার হাত থেকে দুই সিটি করপোরেশনের নিকট হস্তান্তরের নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো.তাজুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক পরামর্শ সভায় এ সিদ্ধান্তের কথা জানান মন্ত্রী। বলেন, খাল হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু করতে ১৪ সদস্যের একটি কারিগরি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ইব্রাহিমকে আহ্বায়ক ও উপ সচিব সাইদুর রহমানকে কমিটির সদস্য সচিব করা হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকা উত্তর, ঢাকা দক্ষিণ ও ওয়াসা থেকে চার জন করে প্রতিনিধি কমিটিতে রাখা হয়েছে।
এক মাসের মধ্যে হস্তান্তর প্রক্রিয়া নিয়ে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে কারিগরি কমিটিকে। সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
একটি রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টে জমা দেয়া এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ঢাকায় মোট ৫০টি খালের অস্তিত্ব রয়েছে। এর মধ্যে ২৬টি খাল পুনরুদ্ধার এবং রক্ষণাবেক্ষণ সম্ভব।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘এটা অনেক পুরনো দিনের সমস্যা। জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে এসে আমাদের দায়িত্ব জনদুর্ভোগ কমানো। আমরা খাল উদ্ধার করব। খালগুলো আরও প্রশস্ত করা হবে।
‘এটা দুরূহ কাজ কিন্তু অসম্ভব না। সরকারি জায়গা কেউ দখল করে রেখে দেবে, সেই দিন আর নেই। খাল ও খালের দুই পাড় উদ্ধার করা হবে।’
স্থানীয় সরকারের এমন সিদ্ধান্তে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসও।
‘দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত সংকটের সমাধান হতে চলেছে। নব সূচনা শুরু হলো। আমরা অচিরেই ঢাকাবাসী কে সুফল দিতে পারব।’
বাড়তি চাপ কি না, এমন এক প্রশ্নের জবাবে তাপস বলেন, ‘জনগণের ম্যান্ডেট নিয়েছি বলে ঢাকাবাসীকে সুফল দিতে এই কর্মযজ্ঞ হাতে নিয়েছি।’
ওয়াসা এমডি প্রকৌশলী তাকসিম এ খান জানান, ১৯৮৮ সালে রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্তে খালগুলোর নিয়ন্ত্রণ তাদের ওপর চাপানো হয়। আসলে এই দায়িত্ব ওয়াসার না।
‘আমরা ২০০৯ সাল থেকে এই দায়িত্ব ফিরিয়ে দিতে চাচ্ছি। অবশেষে সেই প্রক্রিয়া শুরু হলো। এর মধ্য দিয়ে ওয়াসার পানিশোধন আর সুয়ারেজ ব্যবস্থার কাজে আরও বেশি মনোযোগ দেয়া যাবে।’