অফশোর ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ২৩৬ কোটি টাকা পাচার ও আত্মসাতের অভিযোগে এবি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান এম ওয়াহিদুল হক, পরিচালক ফিরোজ আলমসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ দুদকের উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
কমিশনের মুখপাত্র প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য বিষয়টি জানিয়েছেন।
আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে অফশোর ব্যাংকিংয়ের সুযোগ নিয়ে লেটার অফ ক্রেডিটের (এলসি) মাধ্যমে ২৩৬ কোটি ৮ লাখ টাকা পাচার ও আত্মসাৎ করেছেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
আসামিদের মধ্যে এবি ব্যাংকের বোর্ড পর্যায়ের সদস্যরা হলেন সাবেক চেয়ারম্যান এম ওয়াহিদুল হক, পরিচালক ফিরোজ আহমেদ, সাবেক পরিচালক এম এ আউয়াল, ফাহিম উল হক, ইমতিয়াজ হোসেন, সৈয়দ আফজাল হাসান উদ্দিন, শিশির রঞ্জন বোস, বি বি সাহা রায় ও মেজবাউল হক।
অপর আসামিরা হলেন ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অফ অপারেশনস সাজ্জাদ হোসেন, সাবেক ইভিপি অ্যান্ড হেড অফ আইসিসিডি মো. শাহজাহান, ইভিপি অ্যান্ড হেড অফ আইসিসিডি মো. আমিনুর রহমান, সাবেক ইভিপি সরফুদ্দিন আহমেদ, অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট (এসভিপি) মো. শাহজাহান, সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার আরিফ নেওয়াজ, সাবেক হেড অফ ওবিও লোকমান হোসেন ও এসভিপি কাজী আশিকুর রহমান।
আসামিদের মধ্যে আরও রয়েছেন ব্যাংকটির সাবেক ইভিপি কাজী নাসিম আহমেদ, সাবেক এসইভিপি ও হেড অফ বিজনেস আবু হেনা মোস্তফা কামাল, সাবেক এসইভিপি ও হেড অফ সিআরএম সালমা আক্তার, সাবেক ডিএমডি ও হেড অফ ক্রেডিট কমিটি মশিউর রহমান, সাবেক এমডি ও প্রেসিডেন্ট অফ ক্রেডিট কমিটি শামীম আহমেদ চৌধুরী ও ব্যবসায়ী এ এন এম তায়েবুর রশীদ।
মামলায় বলা হয়, এবি ব্যাংকের অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটের গ্রাহক সিম্যাটসিটি জেনারেল ট্রেডিং লিমিটেড এলএলসি, এটিজেড কমিউনিকেশন লিমিটেড এবং ইউরো কারস হোল্ডিং প্রাইভেট লিমিডেটকে ব্যবহার করে সিঙ্গাপুর, সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই ও যুক্তরাষ্ট্রে ঋণের আড়ালে ওই অর্থ পাচার করা হয়েছে।