বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

করোনাকালে নারী নির্যাতন ‘বেড়েছে ৭০ শতাংশ’

  •    
  • ২৫ নভেম্বর, ২০২০ ২২:৫৪

‘করোনা মহামারী স্বাস্থ্য সংকটের পাশাপাশি নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতাকেও বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে। নির্যাতিত নারীদের আইনি সহয়তা প্রদান করে এমন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের হিসেবে গতবছরের তুলনায় এ বছর মার্চ-এপ্রিল মাস নাগাদ নারী নির্যাতনের ঘটনা ৭০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।’

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের প্রথম দুই মাসে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৭০ শতাংশ বেশি নারী নির্যাতনের তথ্য পেয়েছে টিআইবি। গণমাধ্যমে আসা প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এই সিদ্ধান্তে এসেছে দুর্নীতিবিরোধী আন্তর্জাতিক সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের বাংলাদেশ শাখা।

বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি। এতে জানানো হয়, গত মার্চ থেকে এপ্রিল এবং ২০১৯ সালের এই দুই মাসের তুলনা করেছে তাদের গবেষণা দল।

২৫ নভেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ পালনে এই বক্তব্য দিয়েছে সংস্থাটি।

মানবাধিকার কর্মী খুশি কবির নিউজবাংলাকে বলেছেন, তার ধারণা, লকডাউনের শুরুতে উদ্বেগ আর চাকরি হারানো বা আয় কমে যাওয়ায় নির্যাতন ও সহিংসতার মাত্রা বেড়ে থাকতে পারে।

টিআইবির বিজ্ঞপ্তিতে নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘করোনা মহামারী স্বাস্থ্য সংকটের পাশাপাশি নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতাকেও বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে। নির্যাতিত নারীদের আইনি সহায়তা প্রদান করে এমন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের হিসেবে গত বছরের তুলনায় এ বছর মার্চ-এপ্রিল মাস নাগাদ নারী নির্যাতনের ঘটনা ৭০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।’

টিআইবির এই তথ্যের বিষয়ে জানতে চাইলে মানবধিকারকর্মী খুশি কবির নিউজবাংলাকে বলেন, ‘লকডাউনে পুরুষরা বাসায় অনেক সময় থেকেছে, অনেকের উপার্জনের উপায় বন্ধ হয়েছে। নানা রকম হতাশায় ভুগছিলেন। সব মিলিয়ে তাই কলহের পরিমাণও বেশি ছিল।’

বিচার কম

টিআইবির তথ্য অনুযায়ী, গত জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত ধর্ষণ বা ধর্ষণের চেষ্টার শিকার হয়েছেন ১৯২ জন। চলতি বছরের প্রথম নয় মাসে পারিবারিক নির্যাতনে খুন হয়েছেন ২৩৫ জন নারী।

টিআইবি নির্বাহী পরিচালক জানান, নারী নির্যাতনের ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীরা খুবই কম ক্ষেত্রে বিচার পান। সরকারি ৯টি ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার এর একটির হিসেবে প্রায় ১১ হাজার নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনার মধ্যে মাত্র ১৬০টি ক্ষেত্রে চূড়ান্তভাবে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা সম্ভব হয়েছে।

চূড়ান্ত বিচারে মাত্র এক শতাংশ ভুক্তভোগী তাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত নির্যাতনের বিচার পেয়েছেন। বাকি ৯৯ শতাংশ ঘটনার ক্ষেত্রে আসামির সাজা হয়নি।

বর্তমানে উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশের কারণে প্রায় দেড় হাজার মামলার বিচার কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিচার প্রক্রিয়া দীর্ঘ করার মাধ্যমে বিচারহীনতার ঝুঁকি সৃষ্টি করা হচ্ছে।

টিআইবি প্রধান বলেন, ‘দুঃখজনকভাবে এক ধরনের ধারণার জন্ম হয়েছে যে, সময় ক্ষেপণের মাধ্যমে বিচার প্রক্রিয়া দীর্ঘ করতে পারলে নতুন কোনো ঘটনার ডামাডোলে মানুষ এক সময় ভুলে যাবে এবং শাস্তি এড়ানো সম্ভব হবে।’

অপরাধীদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করার পাশাপাশি ভুক্তভোগী ও তার পরিবারকেও সব ধরনের সুরক্ষা ও সহায়তা দেয়ারও সুপারিশ করেছে টিআইবি।

 

এ বিভাগের আরো খবর