সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ কোটা সংরক্ষণসহ সাত দফা দাবি আদায়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ।
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সংসদের কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের নেতৃত্বে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা কয়েকশ নেতাকর্মী এ অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দেয়।
কর্মসূচির দ্বিতীয় পর্বে সংসদের নেতাকর্মীরা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ঘেরাও করতে গেলে জাতীয় প্রেসক্লাব ও সচিবালয় সংলগ্ন সড়কে পুলিশ তাদের আটকে দেয়।
সেখানেই এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ থেকে সংসদের নেতারা আগামী এক মাসের মধ্যে ঘোষিত সাত দফা দাবি না মানলে দেশব্যাপী লাগাতার আন্দোলন গড়ে তোলার হুমকি দেন।
সমাবেশে স্মারকলিপি পাঠ করেন সংসদের কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান সামসুদ্দোহা প্রিন্স।
কোটা সংরক্ষণসহ সাত দফা দাবি জানিয়েছে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ। ছবি: নিউজবাংলা
তিনি বলেন, ‘কোটা সংস্কারের দাবির সঙ্গে আমরাও একমত ছিলাম। কিন্তু এর মানে এই না যে, যারা এই দেশ স্বাধীন করেছেন, সেই বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানের জন্য কোনো কোটাই থাকবে না।’
এ অবস্থায় সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য কোটা পুনর্বহালসহ সাত দফা দাবি মেনে নেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান সামসুদ্দোহা।
তা না হলে সংসদের পক্ষ থেকে লাগাতার আন্দোলনের ঘোষণা দেন তিনি।
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সোলায়মান মিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান সজীব সরকার।
সমাবেশ শেষে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের একটা প্রতিনিধিদল সচিবালয়ে মুক্তযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দিতে যান। এ সময় নেতা-কর্মীরা জাতীয় পতাকা উড়িয়ে লাগাতার স্লোগানের ভেতর দিয়ে তাদের দাবিগুলোর কথা বলতে থাকেন।
মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের অন্য দাবিগুলো হচ্ছে- মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সুরক্ষা আইন পাস, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নির্বাচনে মৃত ও অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের একজন করে প্রতিনিধিকে ভোটার করা, সিরিয়াল-নাটক ও চলচ্চিত্রে মুজিব কোট পরা মন্দ চরিত্র নিষিদ্ধ করা, মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের বেদখল হওয়া সম্পত্তি উদ্ধার করে এটাকে একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করা, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মেজর সিনহা ও এএসপি আনিসুল করিম শিপন হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিত করার পাশাপাশি দেশের সব মুক্তযোদ্ধা পরিবারের ওপর হামলা, নির্যাতন ও জমি দখলের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ নেয়া এবং হাসপাতাল, সরকারি অফিস ও বিমানবন্দরসহ সব ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধাদের ভিআইপি মর্যাদা দেয়া।