মানুষের বাড়িতে কাজ করে, রাজমিস্ত্রী স্বামী মো. আরিফের সঙ্গে ১০ বছর ধরে টাকা জমান পপি আক্তার। সেই টাকা দিয়ে নিজের ঘর ও দুটি দোকান দেন রাজধানীর মিরপুরের কালশীর বি ব্লকে। ১০ বছরের সেই অর্জন এক নিমেষে আগুনে পুরে শেষ হয়ে গেছে চোখের সামনে।
রাজধানীর মিরপুরের কালশীর বি ব্লকের আগুনে বস্তির বাসিন্দা পপি আক্তারের দুটি দোকান ও দুটি ঘর পুরে গেছে। থাকার জায়গা না পেয়ে শীতের মধ্যে রাস্তায় রাত কাটিয়েছেন সাত সদস্যের পরিবার নিয়ে।
কালশীর ওই সরকারি জমিতে মোবাইল সার্ভিসিং ও মোবাইল রিচার্জের দুটি দোকান ছিল পপি-আরিফ দম্পতির। দোকানের উপার্জন দিয়ে চলত তিন সন্তান, শ্বশুর-শাশুড়ি নিয়ে সংসার।
নিঃস্ব পপি বলেন, ‘এক বছরে তিন বার এই বস্তিতে আগুন লাগছে। স্বামীর আয়ে চলত আমার সংসার। দোকান, ঘর দুইডাই পুড়ছে। রাত্রে শুধু জীবন নিয়ে ফিরছি। রাত কাটছে রাস্তায়। দুপুরের খাওয়ার কোনো ব্যবস্থা হয় নাই।’
মঙ্গলবার রাত ২টা ১০ মিনিটে কালশীর বি ব্লকের বস্তিতে আগুন লাগে বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস। তবে কী কারণে আগুন লেগেছে, তা নিশ্চিত হতে পারেনি তারা।
এ ঘটনায় কমপক্ষে ৪৩টি ঘর পুড়ে গেছে। এ ছাড়া পুড়েছে ১২টি দোকানও।
বুধবার সকালে ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার কামরুল হাসান জানান, তাদের ১২টি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে ভোর ৬টার দিকে। এতে কেউ হতাহত হয়নি।
এর আগে মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাবর রোডে বিহারি ক্যাম্পের পাশে জহুরী মহল্লায় লাগা আগুনে পুড়ে যায় বেশ কিছু টিনশেড ঘর।