ফরিদপুর পৌরসভার নির্বাচন ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছে হাইকোর্ট।
বুধবার বিচারপতি মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আগামী ১০ ডিসেম্বর এ নির্বাচনের তারিখ ধার্য ছিল।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দস কাজল। তার সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. মোসাদ্দেক বিল্লাহ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ রাসেল চৌধুরী।
ফরিদপুর পৌরসভার নির্বাচন স্থগিত চেয়ে পৌরসভার বর্ধিত এলাকার ভোটার মো. আতিয়ার রহমান গত ১৫ নভেম্বর রিট করেন। ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত আদেশ দেয়।
পৌরসভার নির্বাচন স্থগিতের পাশাপাশি ফরিদপুর পৌরসভাকে সিটি করপোরেশন হিসেবে উন্নীতকরণ প্রক্রিয়াধীন থাকা অবস্থায় নির্বাচন কমিশনের তফসিল ঘোষণাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে গত ৩ নভেম্বর রুল জারি করে হাইকোর্ট।
স্থানীয় সরকার সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ ১০ জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দস জানান, একটি পৌরসভাকে সিটি করপোরেশন করতে যা যা করা দরকার প্রশাসন তার সবই করেছে। এমনকি গত বছর ২১ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির (নিকার) ১১৬তম সভার প্রধান আলোচ্য সূচি ছিল ফরিদপুর সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠা।
ওই সভায় বিদ্যমান ফরিদপুর পৌরসভা এবং সম্প্রসারিত এলাকা নিয়ে ফরিদপুর সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। তা সত্ত্বেও নির্বাচন কমিশন ফরিদপুর পৌরসভা নির্বাচনের জন্য তফসিল ঘোষণা করে।
নির্বাচন কমিশনের তফসিল ঘোষণাকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়। ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত ফরিদপুর পৌরসভা নির্বাচন ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে।