স্বামীর দেয়া পেট্রলের আগুনে যৌনাঙ্গ পুড়ে যাওয়া গৃহবধূর পেট ও কিডনিতে ক্ষত দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক পার্থ শঙ্কর নিউজবাংলাকে জানান, ওই নারীর শরীরের ২৫ শতাংশ দগ্ধ রয়েছে। তার পেট ও কিডনিতে ক্ষত দেখা দিয়েছে; অবস্থা শঙ্কামুক্ত নয়।
এদিকে মঙ্গলবার বিকাল তিনটায় ওই নারীর অস্ত্রোপচার করা হয়। ছয়টার দিকে জ্ঞান ফেরে তার।
ওই নারীর চিকিৎসায় গঠন করা মেডিক্যাল বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী অস্ত্রোপচার করা হয় বলে জানান ডা. পার্থ।
গৃহবধূর বাবা জানান, চিকিৎসকের দেয়া ১৭টি পরীক্ষার মধ্যে ১৪টি করা হয়েছে। আগের চেয়ে তার মেয়ের অবস্থার উন্নতি হয়েছে। এখন কথাও বলতে পারছে।
তবে চিকিৎসকরা বলছেন, ওই নারীর শারীরিক অবস্থা নিয়ে এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। বাকি তিনটি পরীক্ষার প্রতিবেদন হাতে পেলে এ বিষয়ে বলা যাবে।
এর আগে গত শনিবার রাত ১০টার দিকে ওই নারীকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার পূর্ব কোদালা সন্ধীপাড়া গ্রামে শুক্রবার ভোরে স্বামী মোহাম্মদ রাসেল ওই নারীর কোমর থেকে নিচের অংশ পেট্রল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন বলে অভিযোগ।
গৃহবধূর বাবা জানান, সাত বছর আগে পাশের গ্রামের রাসেলের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলেন। তাদের একটি চার বছরের সন্তান রয়েছে। যৌতুকের দাবিতে প্রায়ই তার মেয়েকে মারধর করতেন রাসেল।
তিনি জানান, পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়ার পর তাকে ফোন করে মেয়েকে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলে রাসেল। পরে মেয়েকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয়।
ওই ঘটনায় শুক্রবার বিকেলে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে থেকে রাসেলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।