গাইবান্ধা সদর উপজেলায় ধর্ষণের ভিডিও ফাঁসের ভয় দেখিয়ে আট মাস ধরে নারীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে এক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান ও স্কুলশিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার রাতে উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের লেংগাবাজার থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) মো. মজিবর রহমান নিউজবাংলাকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
গ্রেফতার মোস্তাফিজুর রহমান বাদলের বাড়ি সদরের লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের মৌজা মালীবাড়ী গ্রামে। তিনি ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। একই সঙ্গে স্থানীয় লেংগাবাজার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবেও কর্মরত।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই নারী গাইবান্ধা সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
মামলার এজহারে বলা হয়, চলতি বছরের ৩ মার্চ প্রত্যয়নপত্র আনতে ইউপিতে যান ওই নারী। এ সময় চেয়ারম্যান বাদল তাকে নিজ কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে তা ফাঁস করার ভয় দেখিয়ে পরবর্তী আট মাস ধরে ওই নারীর ওপর যৌন নির্যাতন চালান।
মামলায় আরও বলা হয়, গত ১১ নভেম্বর স্বামীর অনুপস্থিতিতে ওই নারীর বাড়িতে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন চেয়ারম্যান বাদল। এ সময় প্রতিবেশীরা বিষয়টি টের পেলে বাদল সেখান থেকে পালিয়ে যান।
ওসি মজিবর রহমান জানান, সন্ধ্যায় মামলার পর রাতে বাদলকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরও জানান, বুধবার সকালে সদর হাসপাতালে ওই নারীর ডাক্তারি পরীক্ষা হবে; বাদলকে আদালতে হাজির করা হবে।
২০১৭ সালের ৩ জুন নিজ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন বাদল। সেই মামলায় কয়েক মাস কারাভোগ শেষে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পান।