প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন ফরিদুল হক খান দুলাল। তিনি ধর্ম মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করবেন।
একাদশ সংসদ নির্বাচনে জামালপুর-২ আসন থেকে বিজয়ী এই সংসদ সদস্যের শপথ বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় বঙ্গভবনের দরবার হলে নতুন প্রতিমন্ত্রীর শপথ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান নিউজবাংলাকে জানান, ‘আমি কল্পনাও করিনি প্রধানমন্ত্রী আমাকে এই জায়গায় আসন দেবেন। আমার চাওয়া যতটুকু, এটা তার চেয়েও বেশি।’
প্রধানমন্ত্রী যে দায়িত্ব দিয়েছেন, তা সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করবেন বলেও জানান তিনি।
করোনা মহামারির কারণে এবার সংক্ষিপ্ত পরিসরে শপথের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়। এমনকি শপথ অনুষ্ঠানে ছিলেন না প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ফরিদুলকে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে মঙ্গলবার সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়।
যদিও সোমবার থেকে শোনা যাচ্ছিল, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন ফরিদুল। তবে সরকারের পক্ষ থেকে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি।
মঙ্গলবার সকালে সচিবালয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘আমাদের ভালো একজন লোক, জামালপুরের ইসলামপুরের সংসদ সদস্য, তিনি আজকে সন্ধ্যায় শপথ নেবেন।’
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়ের পর ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে টানা তৃতীয় মেয়াদে শপথ নেন শেখ হাসিনা। ২৪ জন মন্ত্রী, ১৯ জন প্রতিমন্ত্রী এবং তিনজন উপমন্ত্রীকে নিয়ে নতুন সরকারের মন্ত্রিসভা সাজান তিনি।
টেকনোক্র্যাট কোটায় মন্ত্রিসভায় স্থান পান ৭৪ বছর বয়সী আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মো. আবদুল্লাহ। তাকে ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয়। কিন্তু করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ১৩ জুন তার মৃত্যু হলে খালি ছিল মন্ত্রণালয়।
প্রায় মাস পাঁচেক পর এবার সেই দায়িত্ব পেলেন ৬৪ বছর বয়সী ফরিদুল। যিনি জামালপুর-২ (ইসলামপুর) আসন থেকে এ নিয়ে তৃতীয়বার সংসদে প্রতিনিধিত্ব করছেন।
১৯৫৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি জন্ম নেওয়া ফরিদুল হক খান উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। জামালপুরের ইসলামপুরের সাবেক এই উপজেলা চেয়ারম্যান ২০০৮ সালে নৌকা প্রতীকে প্রথমবার সংসদে যান। দুই কন্যার পিতা দুলাল মূলত পাট ব্যবসায়ী।
মন্ত্রিসভায় সহসা কোনো পরিবর্তন আসছে না
মন্ত্রিসভায় রদবদলের গুঞ্জন নাকচ করে দিয়েছন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘এ মুহূর্তে মন্ত্রিসভায় অন্য কোনো পরিবর্তনের কোনো বিষয় আমি জানি না। কারণ করলে আরও কয়েকজনকে নিয়ে হয়ত করত। কিন্তু এটা আসলে পুরোপুরি প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার।’ কাদের বলেন, ‘স্বাভাবিক সময়ে কাজ করা হয় ফিজিক্যাল প্রেজেন্স দিয়ে। এ সময় (করোনা কাল) খুব কঠিন। আর তা ছাড়া এ মুহূর্তে অন্যান্য মন্ত্রণালয়ে জরুরি ভিত্তিতে কোনো পরিবর্তনের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী মনে করছেন না যে এ সময় করা দরকার।’
মন্ত্রিসভায় দুই দফা রদবদল এবং একজন প্রতিমন্ত্রী মারা যাওয়ার পর শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন সরকারে বর্তমানে ২৫ জন মন্ত্রী, ১৮ জন প্রতিমন্ত্রী এবং তিনজন উপমন্ত্রী রয়েছেন।
সর্বশেষ গত বছরের ১৩ জুলাই প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে আসা ইমরান আহমদ মন্ত্রী হিসেবে এবং ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা প্রতিমন্ত্রীর শপথ নেন।