জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে ৮৫ বছরের বৃদ্ধের সঙ্গে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীর বিয়ের ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি শাহেদ নুর উদ্দিনের হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আগামী রোববার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে জামালপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি) ও দেওয়ানগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেন বিচারক।
১২ বছরের কিশোরীর সঙ্গে বৃদ্ধের বিয়ের ঘটনা নিয়ে জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। পরে আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে এ আদেশ দেয়।
আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার নিউজবাংলাকে জানান, বিয়ের ঘটনা তদন্ত করে জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতিবেদন দিতে বলেছে আদালত। প্রতিবেদনের আলোকে আদালত পরবর্তী নির্দেশনা দেবে।
গত ২০ নভেম্বর সংবাদপত্রের প্রতিবেদন থেকে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে ৮৫ বছর বয়সের বৃদ্ধের সঙ্গে ১২ বছরের ওই শিশুর বিয়ের ঘটনাটি সামনে আসে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, গ্রাম্য সালিশে ওই বৃদ্ধের নাতি শাহিনের (১৮) অপরাধের দায়ভার দাদার ওপর চাপানো হয়। গ্রাম্য সালিশে বৃদ্ধ মহির উদ্দিনকে ১০ দোররা মেরে তার সঙ্গে শিশুটির বিয়ে দেয়া হয়।
স্থানীয়রা জানায়, ভুক্তভোগী শিশুটি স্থানীয় কওমি মাদ্রাসার পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। একই গ্রামের বৃদ্ধ মহির উদ্দিনের নাতি শাহিনের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে শাহীনের ধর্ষণে শিশুটি গর্ভধারণ করে। পরে তার গর্ভপাতও ঘটানো হয়।
বিষয়টি ফাঁস হলে স্থানীয় মাতুব্বররা সালিশ করে নাতি শাহিনের দায় ৮৫ বছরের বৃদ্ধ মহির উদ্দিনের ওপর চাপিয়ে দেন।
মহিরের প্রতিবেশীরা জানান, বৃদ্ধ মহির উদ্দিনের প্রথম ও দ্বিতীয় স্ত্রী মারা গেছে। তৃতীয় বিয়ে করেছেন ২৭ বছর আগে। শিশুটি তার চতুর্থ স্ত্রী।
তিনি ৭ সন্তানের জনক। মহির এখন ঠিকমতো কথাও বলতে পারেন না; দৃষ্টিও ঝাপসা। ১২ বছর বয়সী চতুর্থ স্ত্রীকে নিয়ে তিনি চরম বিপাকে পড়েছেন।