বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মুক্তিযুদ্ধের অস্ত্র বেচা যাবে না

  •    
  • ২৪ নভেম্বর, ২০২০ ১৪:২০

একই সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধে ব্যবহৃত কী পরিমাণ অস্ত্র আছে, বর্তমান অবস্থা কী সে বিষয়ে ছয় মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছে আদালত।

মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্যবহৃত সাড়ে ২৭ হাজার অস্ত্র বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে হাইকোর্ট।

একই সঙ্গে কী পরিমাণ অস্ত্র আছে, বর্তমান অবস্থা কী সে বিষয়ে ছয় মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছে আদালত।

মঙ্গলবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।

আদালতে রিটের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন জেড আই খান পান্না ও শাহীনুজ্জামান।

মুক্তিযুদ্ধে ব্যবহৃত অস্ত্র বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে গত ১৫ নভেম্বর হাইকোর্টে রিট দায়ের করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জেড আই খান পান্না এবং মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)।

‘মুক্তিযুদ্ধের অস্ত্র বেচতে চায় সরকার’ শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে এ রিটটি দায়ের করা হয়।

রিটের শুনানি শেষে আদালত মুক্তিযুদ্ধের অস্ত্র বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পাশাপাশি রুল জারি করেছেন বলে নিউজবাংলাকে জানান আইনজীবী জেড আই খান পান্না।

রুলে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্যবহৃত অস্ত্র বিক্রি বা আগ্নেয়াস্ত্র স্থানান্তর কার্যক্রম কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং জাতীয় ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অবিলম্বে ওই সব অস্ত্র সংরক্ষণে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

প্রতিরক্ষা সচিব, অর্থ সচিব, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সচিব এবং বাণিজ্য সচিবকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্যবহৃত হয়েছে, এমন আগ্নেয়াস্ত্রগুলো সরকার বেচে দিতে চায়। সরকারের যুক্তি হচ্ছে এগুলো পুরোনো, অপ্রচলিত এবং যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে অকার্যকর। ফেলে রাখার কোনো দরকার নেই। প্রাচীন নিদর্শন বা স্মৃতিচিহ্ন (অ্যান্টিক সুভ্যেনির) হিসেবে অস্ত্রগুলো কিনে নিতে আগ্রহ দেখিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের দুটি ও সুইজারল্যান্ডের একটি অস্ত্র আমদানিকারক কোম্পানি।

রপ্তানি করতে চাওয়া পুরোনো অস্ত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাজ্যে তৈরি ০.৩০৩ রাইফেল নম্বর-৪ এমকে-১; ৯ এমএম স্টেন এসএমজি এমকে-২ ও সিএম ৯ এমএম স্টেন এ১; ভারতে তৈরি ৭.৬২ এমএম এসটিআর এল১ এ১/১ এ ১ ও রাইফেল জি-৩; পাকিস্তানে তৈরি ৪৪ এমএম হ্যান্ড লঞ্চার এম-৫৭; যুক্তরাষ্ট্র/রাশিয়া/জাপানে তৈরি পিস্তল ও রিভলবার ৭০০ এবং জার্মানি/যুক্তরাজ্য/ভারতে তৈরি এলএমজি এইচকে ১১ এ১ সিএএল ৭.৬২ * ৫১।

আট শ্রেণি মিলিয়ে অস্ত্রের মোট সংখ্যা ২৭ হাজার ৬৬২। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৪ হাজার ৪৫৪টি হচ্ছে ০.৩০৩ রাইফেল নম্বর-৪ এমকে-১। আর সবচেয়ে কম ১১৫টি হচ্ছে ৪৪ এমএম হ্যান্ড লঞ্চার এম-৫৭।

এ বিভাগের আরো খবর