মোংলা বন্দরে বিদেশ থেকে আনা পণ্য অভিনব উপায়ে চুরি করা হতো বলে জানিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ। এর সঙ্গে জড়িত পাঁচ জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।
গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, আমদানি রফতানির ক্লিয়ারিং-ফরোয়ার্ডিংয়ের কাজ করা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে বিশেষ কৌশলে পণ্য চুরি করা হতো।
আমদানি করা কন্টেইনারের ভেতরে কী কী মাল থাকে সেটা জানেন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা। তারা তাদের সহযোগীদের সঙ্গে একত্রে মিলে মাল খালাসের জন্য কয়েকটি গাড়ি বন্দরে ঢুকানো হতো।
যে মালামালগুলো কাস্টমস থেকে ক্লিয়ারেন্স পেয়েছে সেগুলো দুটি গাড়িতে ও যেগুলো ছাড়পত্র পায়নি, সেগুলো বাকি দুই গাড়িতে করে সরিয়ে নেয়া হয়। এরপর এই চোরাই মাল চলে যেত বিভিন্ন জেলায়।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ একজন আমদানিকারকের অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমে গত কয়েকদিনে একাধিক অভিযান চালায়।
আটকরা হলেন শামসুল আরেফিন, মনির হোসেন, আবুল কাশেম, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অরুণ ও লেবার সরদার সাগর।
গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার রাজীব আল মাসুদ জানান, ১০ সেপ্টেম্বর একজন তাদের কাছে কাপড় চুরির অভিযোগ নিয়ে আসেন। তিনি চীন থেকে তিন লাখ ৩০ হাজার গজ কাপড় আমদানি করেছেন। সেই কাপড় তিনি বন্দর থেকে আনার আগেই দেখেন ঢাকার বাজারে বিক্রি হচ্ছে। এরপর তিনি রাজধানীর কোতয়ালি থানায় মামলা করেন।
এরপর পুলিশ গত ১০ সেপ্টেম্বর ইসলামপুরের একটি গুদামে অভিযান চালিয়ে প্রায় ৯৫ হাজার গজ চোরাই কাপড় উদ্ধার করে। গ্রেফতার করা হয় শামসুল আরেফিন ও মনির হোসেনকে।
তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে মংলা পোর্টের কিছু কর্মচারী ও কর্মকর্তা, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট, কাপড় ব্যবসায়ী ও খুচরা বিক্রেতাদের নাম জানতে পারেন গোয়েন্দারা।
রাজীব আল মাসুদ জানান, ধরা পড়া দুই জনের তথ্যের ভিত্তিতে ১৮ নভেম্বর চট্টগ্রামের আবুল কাশেমকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর রোববার মংলা থানা এলাকা থেকে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অরুণ ও লেবার সরদার সাগরকে গ্রেফতার করা হয়।