বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ফাঁসিই রাসেলের উপযুক্ত শাস্তি: সাওদার মা

  •    
  • ২৩ নভেম্বর, ২০২০ ১৮:২৮

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী সাওদা বেগম হত্যা মামলায় ২০১৫ সালের ১ জুন রাসেলকে মৃত্যুদণ্ড দেয় বরিশালের আদালত। তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়। সোমবার তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়ার পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে হাইকোর্ট।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী সাওদা বেগম হত্যা মামলায় হাইকোর্টের রায়ের প্রতিক্রিয়ায় তার মা সাহিদা বেগম বলেছেন, ‘আমার মেয়েকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করেছে রাসেল, ওর ফাঁসিই একমাত্র উপযুক্ত শাস্তি।’

২০১৩ সালের ৫ সেপ্টেম্বরের ওই ঘটনায় করা মামলায় ২০১৫ সালের ১ জুন রাসেলকে মৃত্যুদণ্ড দেয় বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ আদালত। তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানাও করেন বিচারক মো. আনোয়ারুল হক। সোমবার তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়ার পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে হাইকোর্ট।

বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার সদর ইউনিয়নের আবদুর রাজ্জাকের মেয়ে সাওদা। রাসেল উপজেলার নাচনাপাড়া এলাকার কেরামতপুর এলাকার হারুন মাতুব্বরের ছেলে।

মামলায় বলা হয়, প্রেমের সম্পর্ক রাখতে রাজি না হওয়ায় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ২০১৩ সালের ৫ সেপ্টেম্বর সাওদাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে রাসেল। সাওদাকে বরিশালের শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা পাঠানো হয়। সেদিন বিকেলে মারা যান সাওদা।

রায়ের প্রতিক্রিয়ায় সাওদার মা সাহিদা বেগম নিউজবাংলাকে মুঠোফোনে আরও বলেন, ‘আমার মেয়েকে নির্মমভাবে যে হত্যা করেছে তার মৃত্যুদণ্ড না হলে মেয়ের আত্মা শান্তি পাবে না। আমরাও স্বস্তি পাব না। আমরা সরকার ও রাষ্ট্রপতির কাছে আসামির ফাঁসি চাই।’

সাওদার বাবা আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘আমরা মেয়ের হত্যার বিচারের অপেক্ষায় ছিলাম সাত বছর। বরিশাল জজ কোর্ট থেকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছিল। আমরা রায়ের তারিখ সম্পর্কে জানতাম না। খবরে দেখেছি আজ রায় দিয়েছে আদালত। আশা ছিল হাইকোর্ট মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখবেন। কিন্ত রায়ে আমাদের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি।

‘আদালতের রায় নিয়ে আমাদের কোনো মন্তব্য নেই। যেহেতু রাষ্ট্র আমাদের পক্ষে মামলাটি লড়ছে রাষ্ট্রের কাছে, রাষ্ট্রপতির কাছে রায়টি পুনঃবিবেচনার দাবি করছি, আমরা যাতে ন্যায় বিচারের সুযোগ বঞ্চিত না হই।’

রাসেলের বাবা হারুন বলেন, ‘আমরা রাষ্ট্রের কাছে ন্যায় বিচার প্রার্থনা করেছি, আদালত সবকিছু বিবেচনায় রায় দিয়েছে। এ নিয়ে আমাদের কোনো মন্তব্য নেই।’

এ বিভাগের আরো খবর