জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক হিমেল বরকতের দাফন হয়েছে নিজ গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে।
বাগেরহাটের মোংলার মিঠাখালী ফুটবল মাঠে সোমবার সকাল ১০টার দিকে তার তৃতীয় জানাজার নামাজ হয়। পরে মিঠাখালীর পারিবারিক কবরস্থানে মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হয়া হিমেল বরকতকে।
জানাজায় স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের বিপুল সংখ্যক মানুষ অংশ নেন। পরিবারের পক্ষ থেকে হিমেল বরকতের জন্য দোয়া চান তার ভাই ডা. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ, আবির আব্দুল্লাহ, সুবির ওবায়েদ, সুমেল সারাফাতা ও ভগ্নিপতি মাহমুদ হাসান ছোট মনি।
জানাজার নামাজের আগে স্মৃতিচারণ করেন উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী, পৌর মেয়র মো. জুলফিকার আলী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম হোসেন, হাফেজ মাওলানা রুহুল আমিনসহ বেশ কয়েকজন।
হিমেল বরকত প্রখ্যাত কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর ছোট ভাই।
শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীর নিজ বাসায় তার হার্ট অ্যাটাক হয়। ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে ভর্তির পর রোববার ভোররাত সাড়ে ৪টার দিকে তিনি মারা যান।
আরও পড়ুন: হিমেল বিকেলে জাবিতে হিমেল বরকতের বিদায়
অধ্যাপক হিমেল বরকত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার পাশাপাশি ছিলেন কবি, প্রাবন্ধিক ও গবেষক। হিমেল বরকতের স্ত্রী ও এক মেয়ে রয়েছে।
রোববার ভোররাতে মৃত্যুর পর বাদ জোহর রাজধানীর ধানমন্ডির মসজিদে তাকওয়ায় হিমেলের প্রথম জানাজা হয়। তারপর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের শ্রদ্ধা জানানোর পর বিকেল পৌনে ৪টার দিকে ক্যাম্পাসের টেনিস কোর্টে হয় দ্বিতীয় জানাজা। এরপর হিমেল বরকতের মরদেহ নেয়া হয় গ্রামের বাড়িতে।