দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ৪১৬ জনে।
সোমবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত হয়েছে দুই হাজার ৪১৯ জনের শরীরে। এখন পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছে চার লাখ ৪৯ হাজার ৭৬০ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ১১৭টি ল্যাবে ১৬ হাজার ৫৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ০৬ শতাংশ।
এক দিনে সুস্থ হয়েছে দুই হাজার ১৮৩ জন। এ নিয়ে সুস্থ হলেন তিন লাখ ৬৪ হাজার ৬১১ জন। সংক্রমণ বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
মৃত ২৮ জনের মধ্যে পুরুষ ২১ ও নারী ৭ জন। শতাংশ হিসাবে পুরুষের মৃত্যুর হার ৭৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ। নারীদের ক্ষেত্রে এ হার ২৩ দশমিক ১৬ শতাংশ।
বিভাগ অনুযায়ী ঢাকায় ২১, চট্টগ্রামে ৪, রাজশাহীতে ২, সিলেটে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতরা সবাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
গত ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্তের খবর জানানো হয়। এর ১০ দিনের মাথায় ১৮ মার্চ করোনায় দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে সরকার। এখন দেশে চলছে সংক্রমণের অষ্টম মাস।
দেশে করোনা শনাক্তে পরীক্ষা শুরু হয় গত ২১ জানুয়ারি। শুরুতে রোগীর সংখ্যা কম থাকলেও মে থেকে বাড়তে থাকে রোগীর সংখ্যা।
১১৭ দিনের মাথায় গত ৫ জুলাই রোগীর সংখ্যা দাঁড়ায় দেড় লাখ। দুই লাখ হতে সময় লাগে আর ১৩ দিন। এর পাঁচ সপ্তাহে রোগী বাড়ে আরও এক লাখ। ২৬ আগস্ট রোগীর সংখ্যা হয় তিন লাখ।
এরপর থেকে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির হার কমতে থাকে। গত ২১ সেপ্টেম্বর রোগী দাঁড়ায় সাড়ে তিন লাখ। তিন সপ্তাহে রোগী বাড়ে ৫০ হাজার।
এরপর ৫০ হাজার রোগী বাড়তে সময় লাগে আরেকটু বেশি। পাঁচ সপ্তাহে রোগী বাড়ে আরও ৫০ হাজার।
গত ২৬ অক্টোবর করোনাভাইরাসে রোগী শনাক্তের সংখ্যা ৪ লাখ ছাড়িয়েছিল। গেল ২৮ দিনে নতুন করে আরও ৫০ হাজার নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৩ লাখ ৯৩ হাজার ৬০৪ জন। শনাক্ত হয়েছে ৫ কোটি ৯০ লাখ ৪০ হাজার ৯২১ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছে ৪ কোটি ৮ লাখ ২০ হাজার ৮১৩ জন।
জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বে করোনাভাইরাস শনাক্তের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান ২৪তম। আর মৃতের দিক থেকে ৩৩তম।