দেড় যুগ আগে বিরোধীদলীয় নেতা থাকাকালে সাতক্ষীরায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় করা মামলা চলবে কি না, সে আদেশ আসছে মঙ্গলবার। মামলা বাতিল চেয়ে এক আসামির করা আবেদনের ওপর শুনানি শেষে এই কথা জানায় আপিল বিভাগ।
সোমবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনসহ আপিল বেঞ্চে আবেদনটির শুনানি হয়েছে।
অষ্টম জাতীয় নির্বাচনের পর সাতক্ষীরায় ধর্ষণের শিকার এক মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে দেখতে যাওয়ার সময় ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা হয়।
সে সময় পুলিশ মামলা নেয়নি। পরে হাইকোর্ট থেকে আদেশ পেয়ে ২০১৪ সালে মামলা হয়। ২০১৭ সালের মামলায় বিচার শুরু হলে আসামি রাকিবুর রহমানকে অপ্রাপ্তবয়স্ক উল্লেখ করে আবেদন করা হয়।
এই আবেদনের প্রেক্ষিতে জারি করা রুল গত ৮ অক্টোবর খারিজ করেছিল হাই কোর্ট। একইসঙ্গে তিন মাসের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ দেয়া হয়।
পরে হাই কোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আপিল করেন রাকিব। এই আবেদনের ওপর শুনানি শেষে আগামীকাল আদেশের জন্য রাখা হয়ে।
আপিল আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন মাহবুব উদ্দিন খোকন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এসএম মুনীর।
অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এসএম মুনির নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এ মামলাটি দীর্ঘায়িত করার জন্য বার বার আবেদন করা হচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে এই আপিল হয়েছে। আশা করছি আসামিপক্ষের করা আপিলটি খারিজ হবে। আর খারিজ হলে মামলা চলতে বাধা থাকবে না।
মামলায় বলা হয়, সাতক্ষীরার কলারোয়ায় ধর্ষণের শিকার মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে দেখে ফেরার পথে উপজেলায় বিএনপি অফিসের সামনে শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা হয়। সে সময় শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়; বোমা বিস্ফোরণ ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে।
হাইকোর্টে আবেদন করে ২০১৪ সালে মামলা করা হয়। ২০১৫ সালে এ ঘটনায় আদালতে অভিযোগপত্র দেয়া হয়।
এর মধ্যে হত্যাচেষ্টা মামলায় এক আসামি রকিব ওরফে রাকিবুর রহমানের বয়স ঘটনার সময় ১০ বছর ছিল উল্লেখ করে হাইকোর্টে মামলা বাতিলে আবেদন করা হয়।
২০১৭ সালে ওই আবেদনের একই সালের ২৩ আগস্ট হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ দিয়ে রুল জারি করে। এ রুলের ওপর শুনানি শেষে ৮ অক্টোবর রুলটি খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট।
বর্তমানে মামলাটি সাতক্ষীরার আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে।