বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী সাওদা বেগম হত্যা মামলার আসামি রাসেল মিয়াকে বিচারিক আদালতের মৃত্যুদণ্ডের সাজা পরিবর্তন করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।
সোমবার বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ ও বিচারপতি এএসএম আবদুল মোবিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন খন্দকার মাহবুব হোসেন। সঙ্গে ছিলেন এম মাসুদ রানা, শিশির মোহাম্মদ মনির ও নওয়াব আলী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শাহীন আহমেদ খান।
আইনজীবী মাসুদ রানা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঘটনার সময় আসামির বয়স ছিল মাত্র ২১ বছর। এ মামলার পূর্বে আসামির অন্য কোনো অপরাধের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি।
‘তা ছাড়া বিচারিক আদালতের রায়ের পর থেকে রাসেল কনডেম সেলে বন্দি ছিলেন। সব বিষয় বিবেচনা করে আদালত এ রায় দিয়েছে।’
বরগুনার পাথরঘাটার রাসেল ২০১৩ সালের বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষে পড়তেন। অন্যদিকে নিহত সাওদা হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ‘প্রেমের সম্পর্ক রাখতে রাজি না হওয়ায় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ২০১৩ সালের ৫ সেপ্টেম্বর সাওদাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে রাসেল।’
সাওদাকে বরিশালের শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়। ওই দিনই বিকেলে মৃত্যু হয় সাওদার।
৫ সেপ্টেম্বর রাতেই সাওদার মা সাহিদা বেগম বরিশাল কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন। এতে রাসেলের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয় আরও ২-৩ জনকে আসামি করা হয়।
ঘটনার এক সপ্তাহ পর চট্টগ্রামের বন্দর থানার কলসিদিঘী এলাকা থেকে রাসেল মিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ ঘটনার পর বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ রাসেলের ছাত্রত্ব বাতিল করে।
২০১৫ সালের ১ জুন রাসেলকে মৃত্যুদণ্ড দেয় বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ মো. আনোয়ারুল হকের আদালত। সেই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয় তাকে।