বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘৪০০’ বছরের বটগাছে ‘৭৫’ মৌচাক

  •    
  • ২৩ নভেম্বর, ২০২০ ০৯:২৮

অবকাশ এলাকার বাসিন্দা আবু হানিফ জানান, বয়সের ভারে এক যুগ আগে গাছের অর্ধেক ভেঙে গেছে। সে গাছের গোড়া থেকে শুরু করে মগডাল পর্যন্ত চাক বেঁধে নির্বিঘ্নে বাস করছে মৌমাছির দল।

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার গারো পাহাড়ের গজনীর বিশেষ আকর্ষণ ‘৪০০’ বছরের বটগাছ। একে ঘিরে গড়ে উঠেছে শেরপুরের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র গজনী অবকাশ। সেখানে সারা বছরই ভ্রমণপিপাসুরা সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসেন।

অবকাশ যাপনের এ কেন্দ্রটিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে মৌমাছির দল। গাছটিতে ৭০ থেকে ৭৫টি চাক বানিয়ে বসতি গেঁড়েছে তারা।

স্থানীয় বাসিন্দা তসর আলী জানান, কবে এ বটগাছটি এখানে উঠেছিল, তা কারোরই জানা নেই। সবাই ধারণা করে থাকে, এ গাছের বয়স ৪০০ বছরের বেশি হবে।

 

 

অবকাশ এলাকার আরেক বাসিন্দা আবু হানিফ জানান, বয়সের ভারে এক যুগ আগে গাছের অর্ধেক ভেঙে গেছে। সে গাছের গোড়া থেকে শুরু করে মগডাল পর্যন্ত চাক বেঁধে নির্বিঘ্নে বাস করছে মৌমাছির দল। গাছটিতে চাক আছে ৭৫টি।

এটি দেখার  জন্য প্রতিদিনই গজনী অবকাশ কেন্দ্রে উৎসুক লোকজন জড়ো হন। দর্শনার্থীরা বলছেন, এমন দৃশ্য প্রকৃতির এক বিশেষ খেয়াল। কেউ যাতে মৌমাছিগুলোকে বিরক্ত করে না।

স্থানীয়রা জানান, এই গাছটি মৌমাছিদের পছন্দের অনেক আগে থেকেই। আগে শত শত মৌচাক থাকত। কিন্তু এখন ডাল ভেঙে যাওয়ায় মৌচাক কমে গেছে। তবে করোনাভাইরাসের কারণে পর্যটন কেন্দ্রে মানুষজনের তেমন চলাফেরা, শব্দ দূষণ না থাকায় মৌচাকের সংখ্যা এবার বেড়ে গেছে।

কিশোরগঞ্জ থেকে আসা পর্যটক নূর উদ্দিন বলেন, ‘মৌচাকগুলো দেখতে খুব সুন্দর লাগছে। এটা আল্লাহর দান।’

মৌচাষি আব্দুল হালিম বলেন, এগুলো ডাচ জাতের বন মৌমাছি। তারা সংঘবদ্ধভাবে এক জায়গায় থাকতে ভালোবাসে। ফুল থেকে মধু আহরণের সহজ উৎস হওয়ায় এগুলো প্রাচীন বটগাছটিতে বাসা বেঁধেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবেল মাহমুদ বলেন, ‘একটি গাছে এতগুলো মৌচাক সচরাচর দেখা যায় না। বটগাছটিতে ৭০ থেকে ৭৫টি মৌচাক রয়েছে। এসব মৌচাক থেকে কেউ যেন মধু আহরণ ও মৌমাছিদের বিরক্ত না করে তার জন্য ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর