হত্যার পর ড্রামে ভরে লাশ নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
রহিমা বরিশালের গৌরনদী উপজেলার ভীমের পার এলাকার আব্দুল খালেকের স্ত্রী।
খালেক বিদেশ যেতে নিহত সাবিনাকে টাকা দিয়েছিলেন। পরে যেতে পারেননি বলে কিছু টাকা ফেরত নিয়েছিলেন। আরও টাকার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন খালেক।
পুলিশ জানাচ্ছে, সাবিনাকে হত্যা করা হয়েছ হাতুড়ি পিটিয়ে। রশি দিয়ে বাঁধাও হয়েছে।
গৌরনদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আফজাল হোসেন জানান, সাবিনাকে খুন করা হয়েছে বরিশাল নগরীর কাশিপুরে। সেখানকার ভূঁইয়া বাড়ি এলাকার নির্মানাধীণ একটি বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। এরপর ড্রামে করে মরদেহ বাসে করে ভুরঘাটা আনা হয়।
খুনের সময় ব্যবহার করা রশি ও হাতুড়ি উদ্ধার হয়েছে বলেও জানান পুলিশ কর্মকর্তা।
রহিমা বেগমকে কোন জায়গা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তার সঙ্গে আর কে কে জড়িত, সে বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানান ওসি।নিহতের দেবর মনির হাওলাদার জানান, তার ভাই শহিদুল ইসলাম কুয়েত থাকেন। ওই এলাকার খালেক হাওলাদার বিদেশ যেতে চান বলে তার ভাবিকে চার লাখ টাকা দেন।
দেরি হওয়ায় খালেক আর যাবেন না জানিয়ে টাকা ফেরত চান। সাবিনা সম্প্রতি খালেককে দেড় লাখ টাকা ফেরত দেন।
শুক্রবার সকালে দুই সন্তান নিয়ে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে গৌরনদীর দিয়াসুরের বাড়ি আসেন সাবিনা। সকাল ১০টার দিকে খালেক হাওলাদার ডাকছেন বলে বরিশাল যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন সাবিনা। সারা দিনেও সাবিনা বাড়ি না ফেরায় বাড়ির লোকজন চিন্তিত হয়ে পরেন।
ওই রাতে ভুরঘাটা বাসস্ট্যান্ডে একটি বাসে থাকা ব্যারেলের মধ্য থেকে একটি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে আঙুলের ছাপ মিলিয়ে সাবিনার পরিচয় শনাক্ত করেন পুলিশ।