চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ষষ্ঠ একাডেমিক ভবনের দ্বিতীয় পর্যায়ের নির্মাণ কাজের দরপত্রের জালিয়াতির অভিযোগে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জিকেবি অ্যান্ড কোম্পানির এমডি জিকে শামীম ও দি বিল্ডার্স ইঞ্জিনিয়ার্স এসোসিয়েটস মহাব্যবস্থাপক ফজলুর করিম চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক ।
রোববার বিকেলে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর সহকারী পরিচালক ফখরুল ইসলাম এই মামলা করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৬ সালের আগস্টে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে জিকে শামীম ও ফজলুল করিম চৌধুরী ভুয়া ও জাল কাগজপত্র দিয়ে ৭৫ কোটি এক লাখ টাকার কার্যাদেশের চুক্তি হয়।
মামলায় বলা হয়, টেন্ডার নোটিশের শর্ত পূরণ করার মতো যোগ্যতা ছিল না কোম্পানি দুটির। এ জন্য নানা ধরনের প্রতারণা করেছে তারা।
দুদক চট্টগ্রাম মহানগরের উপ পরিচালক লুৎফুল কবির চন্দন বলেন, যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে মামলাটি আরও গভীরভাবে তদন্ত করা হবে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে নতুন কলা অনুষদ ভবনের দ্বিতীয় পর্যায়ের নির্মাণ কাজের দরপত্র আহ্বান করে। ওই সময় কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই ৭৫ কোটি টাকার কাজটি পায় জিকে শামীমের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান।
গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর গুলশানের নিকেতনে শামীমের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালায় র্যাব। ওই ভবন থেকে নগদ এক কোটি ৮১ লাখ ২৮ হাজার টাকা, ৯ হাজার ইউএস ডলার, ১৬৫ কোটি ২৭ লাখ ৬০ হাজার টাকার ১০টি এফডিআর, ৩২টি ব্যাংক হিসাবের চেক বই, আটটি আগ্নেয়াস্ত্র ও মদ পাওয়ার কথা জানানো হয় অভিযান শেষে।
জি কে শামীমের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জি কে বিল্ডার্সের হাতে সরকারি প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকার ২২টি নির্মাণ প্রকল্পের ঠিকাদারি কাজ ছিল। পরে সেগুলোর কার্যাদেশ বাতিল হয়।
শামীমের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার ছাড়াও অস্ত্র ও মাদক আইনে আরও দুটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে অর্থ পাচার ও অস্ত্র মামলায় বিচার শুরু হয়েছে।