বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আঙুলের ছাপে শনাক্ত, মরদেহটি পাপিয়ার

  •    
  • ২২ নভেম্বর, ২০২০ ২২:৫২

‘পাপিয়াকে তার ভাই হত্যা করেন। পরে গুম করার উদ্দেশ্যে আরিফুল ও পাপিয়ার দুই ভাই মিলে মরদেহটি জঙ্গলে ফেলে আসেন।’

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের শিমুলতলায় জঙ্গলে পাওয়া অজ্ঞাতনামা সেই মরদেহটি পাপিয়ার বলে জানিয়েছে পিবিআই। আঙুলের ছাপের মাধ্যমে তার পরিচয় শনাক্ত করা হয়।

নারায়ণগঞ্জের পুলিশ ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (পিবিআই) সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

পিবিআই নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম জানান, মো. আরিফুল ইসলাম নামের এক সন্দেহভাজনকে বুধবার গ্রেফতার করা হয়। তিনি শনিবার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

আরিফুল আদালতকে বলেন, পাপিয়াকে তার ভাই হত্যা করেন। পরে গুম করার উদ্দেশ্যে আরিফুল ও পাপিয়ার দুই ভাই মিলে মরদেহটি জঙ্গলে ফেলে আসেন।

পাপিয়া সিদ্ধিরগঞ্জের মুক্তিনগর এলাকায় দুই ভাই ও বাবাকে নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন। তিনি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলা সদরে। আরিফুলও একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। পরিচয় থেকে দুই জনে ঘনিষ্ঠ হন।

আরিফুল জবানবন্দিতে বলেন, তার সম্পর্ক পাপিয়ার ভাই সাম্মি মেনে নিতে পারেননি। এ নিয়ে ভাই-বোনের ঝগড়া হয়। তিনি (আরিফুল) ২৭ মে পাপিয়াদের ভাড়া বাসায় ছিলেন। কিন্তু ভাই-বোনের ঝগড়ার একপর্যায়ে তিনি ওই বাড়ি থেকে বের হয়ে চলে যেতে চান। কিন্তু তখন বৃষ্টি হওয়ায় একই ভবনের দ্বিতীয় তলায় এক পরিচিতের বাসায় যান।

এর কিছুক্ষণ পর আবার পাপিয়াদের বাসায় যান। সেখানে পাপিয়ার মরদেহ তার বিছানার ওপর পড়ে থাকতে দেখেন। পরে খবর পেয়ে পাপিয়ার বাবা জয়নাল মিয়া ঘটনাস্থলে আসেন।

আরিফুল জানিয়েছেন, জয়নালের পরিকল্পনা অনুযায়ী, আরিফুল, জয়নালের দুই ছেলে মামুন ও সাম্মি মিলে পাপিয়ার মরদেহ ভৈরব ব্রিজ থেকে নদীতে ফেলে দেয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করেন। কিন্তু পথে পুলিশের চেক পোস্ট থাকায় তারা আড়াইহাজারে শিমুলতলা এলাকায় রাস্তার পাশে জঙ্গলে পাপিয়ার মরদেহ ফেলে চলে যান।

২৮ মে পুলিশ জঙ্গল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে। পরদিন পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে আড়াইহাজার থানায় মামলা করে। এরপর জয়নালকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে দুই দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদেও কোনো তথ্য পায়নি পুলিশ। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

২৩ জুলাই মামলার তদন্তের দায়িত্ব নেয় পিবিআই। এরপর আরিফুলকে গ্রেফতার করা হয়।

 

এ বিভাগের আরো খবর