করোনার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে খাদ্য ও ওষুধের সংকট দেখা দিলেও বাংলাদেশে তার অভাব পড়েনি বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন।
মন্ত্রীর দাবি, তারা বাংলাদেশে করোনা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছেন। এ কারণে করোনাকালেও অর্থনীতি গতিশীল, প্রবৃদ্ধিও ভালো।
রোববার সোনারগাঁও হোটেলে ইনডিভিজুয়াল হেলথ আইডি কার্ড বিতরণ ও হেলথ আউটকাম পরিমাপ কার্যক্রমের উদ্বোধনকালে তিনি একথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘করোনার মধ্যে অন্যান্য দেশের অর্থনীতির চাকা দুর্বল হলেও আমাদের অর্থনীতি ভালো। প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে আমরা করোনা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছি। আগামী দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি আছে।’
অনুষ্ঠাটির আয়োজন করে, কমিউনিটি বেইজড হেলথ কেয়ার।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনার রোগী পাওয়া যাওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছে প্রায় সাড়ে চার লাখ রোগী। শনিবার পর্যন্ত মারা গেছে ছয় হাজার ৩৫০ জন।
গত কয়েক মাস ধরে করোনার সংক্রমণ নিম্নমুখী থাকলেও এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে আবার তা ঊর্ধ্বমুখি। বাড়ছে মৃত্যুও।
এর মধ্যে সরকার করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কায় স্বাস্থ্যবিধি মানার ওপর জোর দিয়েছে। বিশেষ করে মাস্ক পরায় আরোপ করা হয়েছে কড়াকড়ি।
মাস্ক না পরলে সেবা মিলবে না ঘোষণা দিয়েও সুফল না পাওয়ার পর এবার ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো হচ্ছে। তার পরেও অনীহা রয়ে গেছে মানুষের।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মাস্ক পরা নিয়ে হেয়ালি ভাব দেখা দিয়েছে। আমরা বারবার তাগাদা দিলেও অনেককে মাস্ক পরাতে পারছি না।
‘নো মাস্ক নো সার্ভিস বাস্তবায়নে ইতিমধ্যে সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তাদেরকে বলা হয়েছে, মাস্ক ছাড়া কোনো ব্যক্তিকে সেবা দেয়া হবে না।’
করোনার টিকা নিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘যেসব প্রতিষ্ঠান করোনার টিকা তৈরি করছে তাদের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ রাখছি, বাজারজাত কারণে প্রথম লটেই ভ্যাকসিন পাবে বাংলাদেশ।’
স্বাস্থ্য খাত নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বিশেষভাবে নজর রাখছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘গ্রামের মানুষ এখন সঠিক সময়ে স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছে। করোনাকালেও গ্রামের মানুষকে সেবা দেয়া হচ্ছে। যে আইডি কার্ড দেওয়া হয়েছে, এটার মাধ্যমে স্বাস্থ্যকে আর এক ধাপ এগিয়ে নিতে পারব।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক সেব্রিনা ফ্লোরা, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রথম মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক এ এইচ এম এনায়েত হোসেন প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।