মাদক গ্রহণের প্রমাণ পেয়ে চাকরি হারালেন ঢাকা মহানগর পুলিশ-ডিএমপির ১০ সদস্য।
সেবনের পাশাপাশি, মাদক বিক্রি, মাদক দিয়ে নিরপরাধ ব্যক্তিদের ফাঁসানো, উদ্ধার করা মাদক জব্দ তালিকায় কম দেখানোর মতো অভিযোগেরও প্রমাণ মিলেছে এদের কারও কারও বিরুদ্ধে।
ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন বিভাগের উপ কমিশনার ওয়ালিদ হোসেন নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
যাদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে কারও নাম পাওয়া যায়নি। তারা কোন পদে কর্মরত ছিলেন, সেটাও জানায়নি ডিএমপি।
ডিএমপি কমিশনার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম দায়িত্ব নেওয়ার পর পুলিশ সদস্যদের মাদকের পরীক্ষা (ডোপ টেস্ট) করার ঘোষণা দেন। এই পরীক্ষায় এখন পর্যন্ত ৬৮ জনের মাদক নেয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
এদের মধ্যে সাত জন এসআই, একজন সার্জেন্ট, পাঁচ জন এএসআই, পাঁচ জন নায়েক ও ৫০ জন কনস্টেবল।
তাদের মধ্যে ৪৩ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের বিভাগীয় মামলা হয়। পাশাপাশি ১৮ জনকে বরখাস্ত করা হয়।
মামলা নিষ্পত্তি শেষে ওই ১৮ জনের মধ্যে ১০ জনকেই চাকরিচ্যুত করা হয়েছে বলেও জানান ওয়ালিদ হোসেন।
এই ব্যবস্থা চলমান থাকবে বলেও নিশ্চিত করেন উপ কমিশনার ওয়ালিদ হোসেন।
ডোপ টেস্ট করা হয় রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালের ফরেনসিক ল্যাবে। সেখানকার কেউ এই বিষয়টি নিয়ে কথা বলেননি।
তবে পরীক্ষার পদ্ধতি জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান সোহেল মাহমুদ। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘এই টেস্টের জন্য নমুনা হিসেবে রক্ত বা প্রস্রাব সংগ্রহ করা হয়। ল্যাবে পরীক্ষার মাধ্যমে দেহে মাদকের উপস্থিতি, পরিমাণ ও ধরণ যাচাই করা হয়।’
ধরন ভেদে মাদকের উপাদান মানবদেহে স্থায়ী হয় উল্লেখ করে সোহেল মাহমুদ বলেন, ‘অ্যালকোহল, গাঁজা, ইয়াবা এই ধরনের মাদকের উপাদান সেবনকারীর দেহে ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী হয়। তাই এই প্রক্রিয়ায় নিয়মিত মাদক সেবকদেরই চিহ্নিত করা সম্ভব।’