কক্সবাজারে বিজিবির তল্লাশি চৌকির সদস্যদের বিরুদ্ধে নারী এনজিও কর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগের সত্যতা পায়নি পুলিশ। তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে প্রতিবেদন দেয়ার পর ওই এনজিওকর্মীকে তলব করেছেন বিচারক।
রোববার দুপুরে কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালত-৩-এর বিচারক হেলাল উদ্দিনের আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
গত ৮ অক্টোবর দমদমিয়া চেকপোস্টে অটোরিকশার যাত্রী এনজিও ব্লাস্টের কর্মী ফারজানা আক্তারকে তল্লাশি করেন বিজিবির সদস্যরা। এ ঘটনায় বিজিবি সদস্যদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দেন থানায়। পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যম ও গণমাধ্যমে নানা প্রচার চালান।
দুই দিন পর আদালতে ওই নারীর বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলা করেন বিজিবির দমদমিয়া তল্লাশি ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত জেসিও নায়েব সুবেদার মোহাম্মদ আলী মোল্লা।
পরে আদালতের নির্দেশে মামলাটি তদন্ত করেন টেকনাফ থানার পরিদর্শক (অপারেশন) শরিফুল ইসলাম। এর প্রতিবেদন তিনি বিচারকের কাছে দেন।
তদন্তে কী পাওয়া গেছে, সেটি নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেননি তদন্ত কর্মকর্তা।
পরে বিজিবির আইনজীবী আফজালুল করিম বলেন, ‘বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে অপপ্রচার চালিয়ে এনজিওকর্মী বিজিবির মতো একটি বাহিনীর মানহানি করেছেন যা পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়েছে।’
আদালত কী সিদ্ধান্ত দিয়েছে, এমন প্রশ্নে আইনজীবী বলেন, ‘ওই এনজিও কর্মীকে পরবর্তী শুনানির দিন হাজির হতে সমন জারি করা হয়েছে। এরপর তার বিরুদ্ধে আদালত সিদ্ধান্ত নেবে।’
শুনানির সময় আদালতে ছিলেন না ধর্ষণ মামলার বাদী ফারজানা আক্তার।
এ নারী লিগ্যাল এইড সার্ভিসেস ট্রাস্টে (ব্লাস্ট) কাজ করেন। তার বাড়ি রাঙ্গামাটিতে। কাজ করেন ব্লাস্টের টেকনাফ হ্নীলা শাখায়। থাকেন সেখানেই।
ফারজানা গত কয়েক দিন ধরে ফোন ধরছেন না। তাই তার বক্তব্য জানা যাচ্ছে না।
আদালতের শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন বিজিবির গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলামসহ অন্য কর্মকর্তারা।