দেশে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ শুরুর বিষয়ে জানা না গেলেও রোগী শনাক্তের হার দিন দিন বাড়ছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গত ২৭ দিনে করোনা শনাক্তের হার বেড়েছে প্রায় পাঁচ শতাংশ।
গত মাসের ২৬ অক্টোবর শনাক্তের হার ১০ শতাংশ থাকলেও ২২ নভেম্বর তা বেড়ে ১৪ দশমিক ৮৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
রোববার স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে দুই হাজার ৬০ জন। এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা চার লাখ ৪৭ হাজার ৩৪১ জন।
এদিকে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ৩৮৮ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ১১৭টি ল্যাবে ১৩ হাজার ৮৭০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৮৫ শতাংশ।
এক দিনে সুস্থ হয়েছে দুই হাজার ৭৬ জন। এ নিয়ে সুস্থ হলেন তিন লাখ ৬২ হাজার ৫২৮ জন। সংক্রমণ বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
মৃত ৩৮ জনের মধ্যে পুরুষ ২৮ ও নারী ১০ জন।
শতাংশ হিসাবে পুরুষের মৃত্যুর হার ৭৬ দশমিক ৮৫ শতাংশ। নারীদের ক্ষেত্রে এ হার ২৩ দশমিক ১৫ শতাংশ।
বিভাগ অনুযায়ী ঢাকায় ২৮, চট্টগ্রামে ৩, রাজশাহীতে ১, বরিশালে ১, খুলনায় ২, রংপুরে ১ ও ময়মনসিংহে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতরা সবাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
গত ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসে প্রথম শনাক্তের খবর জানানো হয়। এর ১০ দিনের মাথায় ১৮ মার্চ করোনায় দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে সরকার। এখন দেশে চলছে সংক্রমণের অষ্টম মাস।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৩ লাখ ৮৭ হাজার ৫১৬ জন। শনাক্ত হয়েছে ৫ কোটি ৮৫ লাখ ৫২ হাজার ৬১১ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছে ৪ কোটি ৫ লাখ ১৯ হাজার ৫২৩ জন।
জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বে করোনাভাইরাস শনাক্তের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান ২৪তম। আর মৃতের দিক থেকে ৩৩তম।